জাতীয়

বনানীর বাসায় আর ফিরবেন না আনিসুল হক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ শেষবারের মতো তার বাসায় নেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মরদেহ বহনকারী গাড়ি বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের বাসায় পৌঁছায়। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সৃষ্টি হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের।

Advertisement

মরদেহ বহনকারী গাড়িটি বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ওই বাসা থেকে বের করে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হয়। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের বাসায় শনিবার সকাল থে‌কেই ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা। বাসার গে‌টে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করছেন সর্বস্তরের মানুষ। প্রথ‌মেই আত্মীয়-স্বজনদের তার মরদেহ দেখার সু‌যোগ দেয়া হয়।

বাসার‌ ভেত‌রে আপন আত্মীয়রা এবং বা‌কিরা বাসার বাইরে অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে আনিসুল হকের মরদেহ বাসায় থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়, এ যাওয়াই শেষ যাওয়া। বনানীর ২৩ নম্বর রোডের এ বাড়িতে আর কখনই ফিরবেন না তিনি।

Advertisement

গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্য যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা।

এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাকে গত ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।

গত সোমবার অবস্থার ফের অবনতি হলে তাকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থেকে পুনরায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩০ নভেম্বর মারা যান তিনি।

এএস/এমএমজেড/জেআইএম

Advertisement