ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ দেখতে তার বানানীর বাসায় সবস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তার মরদেহ বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
দুপুরে মরদেহ বাসায় নিয়ে আসার পর এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাসায় ভিড় জমান বন্ধু, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। প্রিয় নগরপিতাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় করেন অনেক নগরবাসীও।
মরদেহ বাসায় পৌঁছার পর দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনিসুল হকের বাসায় যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মেয়র আনিসুল হকের বাসায় বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের মরদেহ বহনকারী বিমানটি সিলেটে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর বেলা ১টার দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ফ্লাইটটি।
Advertisement
গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।
আনিসুল হকের মরদেহ বিকেল ৩টার দিকে রাখা হবে আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।
সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
Advertisement
এএসএস/এএস/জেএইচ/এমএস