এমন কথা অনেকবারই শুনে থাকবেন অ্যান্টি এজিং কসমেটিক ব্যবহার করুন ৪০-৫০ বছর বয়সে। কিন্তু এ ধরনের প্রসাধনী প্রায়ই আপনাকে প্রলুব্ধ করে। আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনগুলো বলে এগুলো আপনারই জন্য। আসলে কি তাই? এমন সংশয় আর নয়। সব বয়সেই আপনি অ্যান্টি এজিং প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে মূল বিষয় হলো কোনটি কোন বয়সে করা যাবে বা যাবে না তা জানতে হবে। এ ছাড়া আপনার ত্বক কী চায় সেটা হলো প্রধান বিবেচ্য।এটা শুধু বয়স নয়, লাইফস্টাইল, পেশা ও প্রতিদিনের শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে জড়িত। তাই প্রসাধন মূল বিষয় নয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস দিতে পারে উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত ত্বক। ভুল খাবারে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। প্রচুর মৌসুমী ফল ও শাক সবজি খান, যা ত্বককে কোমল ও নমনীয় রাখে। পর্যাপ্ত পানি ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে, ত্বককে রাখে মসৃণ।এবার দেখা যাক কোন বয়সে কোন ধরনের অ্যান্টি এজিং সমাধান বেছে নিতে পারেন:যাদের বয়স বিশের ঘরে : তরুণ ত্বকের জন্য নাইট ক্রিম ও সিরাম বেশি হয়ে যায়। যদি ত্বকে কোনো সমস্যা না থাকে, তবে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ একদম অনুচিত। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য সিরামের ব্যবহার খুবই খারাপ। এটি ত্বককে তৈলাক্ত ও ভঙ্গুর করে তোলে। তবে বিভিন্ন ব্রান্ডের ভালো অ্যান্টি এজিং ক্রিম বাজারে মিলে, যা এ বয়সের তরুণীরা দিনের বেলায় ব্যবহার করতে পারেন। এ বয়সে ত্বকের স্বাস্থ্য সবচেয়ে ভালো থাকে। ত্বকে কোলেজেনের উৎপাদনও বেশি হয়, যা ত্বককে নমনীয় রাখে। তাই দরকার না হলে অ্যান্টি এজিং প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো।যাদের বয়স ত্রিশের কোটায় : ত্রিশের শুরুতে চোখ ও ঠোঁটের কোণে কিছু রেখা দেখা যায়। এটা নিয়ে ভয়ের তেমন কিছু নেই। এটা বয়সের চিহ্নের প্রথম লক্ষণ। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন ও খাদ্যাভ্যাস বয়সের এ ছাপ কমাতে পারে। কিন্তু একেবারে মুছে যাবে এমনটা ভাবা ভুল। এ ক্ষেত্রে সিরাম ব্যবহার করতে না চাইলে অ্যান্টি এজিং নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। এতে ত্বক পাবে সঠিক পুষ্টি, হবে স্বাস্থ্যবান।যারা চল্লিশে পড়েছেন : নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কোলেজেনের উৎপাদন ও ত্বকের টানটান ভাব কমে আসছে। ক্রিম ও সিরামের ব্যবহার ছাড়াও আপনি ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজার প্রতিদিন ব্যবহার করুন। মাঝ মাঝে অ্যান্টি এজিং ফেসিয়াল করুন, যা ত্বকে টানটান ভাব ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।পঞ্চাশ অথবা তার ঊর্ধ্বে : ত্বকে টানটান ভাব আর নেই। কিন্তু এ বয়সে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সূর্যের ইউভি রশ্মির কারণে তৈরি জটিলতা। যা ত্বকের রং নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া মেনোপজও ত্বকে প্রভাব ফেলে। এ সময় একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত। নিয়মিত ফেসিয়াল ও অন্যান্য চিকিৎসা খানিকটা সাহায্য করতে পারেন।
Advertisement