প্রত্যেকটা মানুষের পেশা ভিন্ন। তাই তাদের কর্মক্ষেত্রও ভিন্ন। সারাদিনের কাজের চাপের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলার পর বাড়তি উদ্যমের হ্রাস ঘটে। অফিসের বা অন্য কর্মস্থলে গোটা দিনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে, বসদের চাহিদা পূরণ করে অথবা সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলার পরে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না। স্ট্রেস কমানোর জন্য বহু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ইতিমধ্যে দিয়েছেন। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দম্পতিদের মধ্যে কর্মজীবী মানুষটি বাড়ি ফেরার সঙ্গী বা সঙ্গিনীই তার স্ট্রেস কমিয়ে দিতে পারেন।ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিল-এর স্কুল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস-এর প্রফেসর অ্যালাইন মারচান্ড বলেন, প্রতিদিনের কর্মজীবনের স্ট্রেস আরো বেড়ে যাবে নাকি কমবে তা নির্ভর করে কর্মস্থল থেকে ফেরার পর অন্য মানুষের সঙ্গে তিনি কেমন সময় কাটাবেন তার ওপর। তাই দিনের কাজের স্ট্রেস কমিয়ে উৎপাদনশীলতা আরো বাড়াতে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখাই যথেষ্ট।ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিল এবং কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ৫৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে এক হাজার ৯৫৪ জন কর্মীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। তারা এ সব মানুষের বৈবাহিক অবস্থা, উপার্জন, সমাজে তাদের অবস্থান, বয়স, স্বাস্থ্য এবং আত্মবিশ্বাসের মাত্রা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য নেন। এসব উপাদানের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের দক্ষতা, মানসিক চাহিদা, পরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা ইত্যাদির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন।মারচান্ড এও বলেন, যারা তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখেন, কর্মক্ষেত্রে তাদের স্ট্রেস বেশ কম দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে যার আর্থিক অবস্থা, সন্তানের বিষয়ে সন্তুষ্টি এবং সামাজিকতায় অংশগ্রহণ যত বেশি, তার কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেসও তত বেশি কম।
Advertisement