প্রবাস

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের সঙ্গে দূতাবাসের জরুরি বৈঠক

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের সঙ্গে শ্রমিক সমস্যা সমাধানে দূতাবাসের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পুত্রাযায়ায় ইমিগ্রেশন হল রুমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বড় কর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক আয়োজিত হয়।

Advertisement

বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমার্শিয়াল উইং প্রধান ধনঞ্জয় কুমার দাস, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যারা ইতিপূর্বে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে ফিংগার প্রিন্ট দিয়ে মালয়েশিয়া প্রবেশ করেছেন বা সিক্সপির অধীনে বৈধ হয়েছেন তাদের সব তথ্য ইমিগ্রেশনে রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশি কর্মীরা পাসপোর্ট করার সময় অনুরূপ তথ্য দিয়েই পাসপোর্ট করতে হবে। জন্ম তারিখ বা নামের বানান পরিবর্তন করলে ইমিগ্রেশন বিভ্রান্ত হয় এবং তথ্যাদির মিল না পেলে ভিসা ইস্যু করতে পারবে না। এছাড়া পাসপোর্টে বয়স কমানো যাবে না বলে সাফ জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

Advertisement

এদিকে হাইকমিশনও বয়স কমানোর অ্যান্ডোর্সমেন্ট করছে না। এ বিষয়ে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, রিহায়ারিং কাজ দ্রুত করার জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগ স্পেশাল টাস্কফোর্স করে দিয়েছে এবং তারা কাজ করছে। যে সব কোম্পানি মাই ইজি, ইমান বা বুক্তি মেঘার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে তাদের দ্রুত ইমিগ্রেশনে কর্মীদের হাজির করতে বলেছে।

এদিকে মাই-ইজি জানিয়েছে, কিছু কর্মী তাদের কাছে রেজিস্ট্রেশন করার পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তাদের দ্রুত মাই-ইজি বা হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যাতে তারা ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে বৈধ হতে পারেন।

বৈঠকে কর্মীদের কিছু প্রবণতা এড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যেমন- মাই-ইজিতে রেজিস্ট্রেশন করার পর কোম্পানি পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে গেছে; আর কোনো যোগাযোগ করেনি। ফলে কোম্পানি তাদের পাচ্ছে না, মাই-ইজিকেই অনেকে থাকার বৈধ কাগজ মনে করছে এবং ভুয়া কোম্পানির দারস্থ হচ্ছে শুধু রেজিস্ট্রেশন কাগজ পাবার জন্য। এ ধরনের কাজ করলে কখনই বৈধ হতে পারবে না। অন্য কোনো সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন করার পর কিছু ভুয়া কোম্পানি এবং কোটা নেই এমন কোম্পানি পাওয়া গেছে মর্মে মাই-ইজি ও ইমিগ্রেশন জানান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব কোম্পানির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা কর্মীদের অন্য কোনো বৈধ কোম্পানির মাধ্যমে বিনা খরচে রি-হিয়ারিং সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মাই-ইজি কর্মীদের দ্রুত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বৈধ কোম্পানির মাধ্যমে রি-হিয়ারিং সম্পন্ন করতে বলেছে।

Advertisement

শ্রম কাউন্সিলর এ প্রতিবেদককে জানান, বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মকর্তারা ফ্যাক্টরি ভিজিট করার সময় মালিক ও কর্মীদের বৈধ হবার তাগিদ দিচ্ছে এ বিষয়টির ইমিগ্রেশন প্রশংসা করেছে এবং ভবিষ্যতে যৌথভাবে রি-হিয়ারিং দ্রুত করার জন্য একযোগে কাজ করবে।

মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের উদ্দেশে লেবার কাউন্সিলর মো. সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, যারা এখনও রেজিস্ট্রেশন করেননি তাদের মাই-ইজি, ইমান বা বুক্তি মেঘাতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যারা রেজিস্ট্রেশন করে নীরব আছেন বা কোম্পানি পরিবর্তন করেছেন তারা যেন দ্রুত কোম্পানির মাধ্যমে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু কোম্পানি ভুয়া বা কোটা নাই তাদের মাই-ইজি বা হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈধ হবার কাজ সম্পন্ন করতে ফের তাগিদ দিয়েছেন দূতাবাসের এ কর্মকর্তা।

এমএমজেড/এমআরএম/আইআই