হিংসা-বিদ্বেষ থেকে পবিত্রতা লাভকারী অন্তরই পরকালে আল্লাহর রহমত এবং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ লাভের সৌভাগ্য লাভ করবে। আর এ হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকতে হলে মানুষকে তাঁর অন্তরে ইখলাস তথা একনিষ্ঠতাকে ধারণ করতে হবে।
Advertisement
দুনিয়ার যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগিতে অন্তরকে ইখলাসে পরিপূর্ণ করে রাখতে হবে। যে অন্তরে ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা থাকবে, সে অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ স্থান পাবে না। আর হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত অন্তরের অধিকারী ব্যক্তি আল্লাহর রহমত বরকত ও মাগফেরাত লাভে ধন্য হবে।
তাছাড়া যখন কোনো ব্যক্তির অন্তরে ইখলাছ স্থান পায় তখন ওই ব্যক্তি অনেক বিপদ-আপদ, দোষ-ত্রুটিমুক্ত থাকে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন-
‘তিনটি বিষয়ে মুমিনের অন্তর খেয়ানত করে না।>> ইখলাসের সাথে আমলসমূহ আল্লাহর জন্য নিবেদন করা;>> মুসলিম নেতাদের কল্যাণ কামনা করা;>> মুসলিম জামাআতের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকা।( মুসনাদে আহমদ, ইবন মাজাহ)
Advertisement
হজরত ইবনে আবদুল্লাহ বার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উল্লেখিত তিনটি গুণ যার অন্তরে বিরাজমান থাকবে তার অন্তর কখনো দুর্বল হবে না। নিফাকী ও কপটতামুক্ত থাকবে তাদের অন্তর।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, হিংসা-বিদ্বেষ হতে মুক্ত থাকতে, নিফাকী ও কপটতা পরিহারে যথাযথ ইখলাস অবলম্বন করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইখলাসের সঙ্গে সব আমলগুলো তাঁর জন্য নিবেদনের মাধ্যমে হিংসা-বিদ্বেষ, নিফাকী ও কপটতামুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।
কুরআন-সুন্নাহর বিধি-বিধান যথাযথ পালনে মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করার তাওফিক দান করুন এবং উল্লেখিত তিনটি গুণই নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/আইআই