শিশুমৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে, তবে মাতৃমৃত্যুর ক্ষেত্রে পুরোপুরি লক্ষ্য অর্জন হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাফল্যের ক্ষেত্রেও শহর এবং গ্রামাঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পার্থক্য রয়েছে। আর স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এখনো অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে।বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা বিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক কাওসার আফসানা বলেন, সহস্রব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল পাঁচ বছরের কমবয়স্ক শিশুর মৃত্যু প্রতি হাজারে ৪৮ বা তার নিচে নামিয়ে আনা। বর্তমানে তা ৪৬ এ নেমে এসেছে। তাই এ লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।তিনি বলেন, মাতৃমৃত্যুর ক্ষেত্রে ২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী প্রতি ১ লক্ষ জীবিত শিশুর জন্মের মধ্যে ১৯৪টি ক্ষেত্রে মায়ের মৃত্যু হয়। এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তার ২০১৫ সালের মধ্যে তা ১৪৩-এ নামিয়ে আনা।এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আগের চাইতে উন্নত হলেও এখনো প্রসূতির হাতের কাছে দক্ষ ধাত্রী বা অন্যান্য জরুরি সেবা পৌঁছে দেয়া যায়নি। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ঠিক সময়ে রক্ত দেয়া বা অন্যন্য সেবা পাওয়া যায় না।শহর ও গ্রামের মধ্যেও সেবার তফাৎ আছে। শহরের বস্তি এলাকাতেও মাতৃমৃত্যুর হার গামের তুলনায় কম। নবজাতক শিশু মৃত্যুর হার কমেছে খুবই কম।যে কারণে এটা ঘটছে, সেখানেই ইন্টারভেনশন দরকার - বলে জানান কাওসার আফসানা।মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম হচ্ছে শিশুমৃত্যু এবং মাতৃমৃত্যু কমিয়ে আনা। এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement