ঈদকে সামনে রেখে ঈশ্বরদী ও পদ্মা নদী বেষ্টিত বর্ডার এলাকার উপজেলাগুলোয় মাদক আমদানিকারক ও চোরাকারবারিরা তৎপর হয়ে উঠেছে। পুরাতন সিন্ডিকেটের সঙ্গে নতুন নতুন সিন্ডিকেট করে প্রতিদিন নৌ, ট্রেন ও সড়কপথে কোটি কোটি টাকার ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইনসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, শাড়ি, থ্রিপিস আমদানি করা হচ্ছে। এসব পণ্য মূলত প্রাগপুর, মহিষকুণ্ডি, ভেড়ামারা, চারঘাট, বাঘা, লালপুর এলাকা হয়ে সড়ক পথে আমদানি করা হচ্ছে। ট্রেন পথে হিলি ও যশোর, ঝিনাইদহ, দর্শনা হয়ে এবং নৌ পথে চারঘাট, বাঘা, লালপুর, দৌলতপুর, ভেড়ামারা হয়ে ঈশ্বরদীতে ঢুকছে। ঈশ্বরদীর ব্লাকপাড়া, ফতেমোহাম্মদপুর, মুলাডুলি, মাজগ্রাম, পাকশী হঠাপাড়া, মাজদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে গুদামজাত করার পর সুযোগ বুঝে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একইভাবে সড়ক ও নৌ পথে পাচার করা হচ্ছে। ভারতীয় এসব মাদকদ্রব্য ঈশ্বরদীর কে কোথায় কীভাবে আমদানি ও বিক্রি করেন তা সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনেকেরই জানা রয়েছে। ভারতীয় শাড়ি থ্রিপিসের যেমন কদর বেশি। আবার ঈশ্বরদীতে আমদানি রফতানির পরিবেশ ভালো হওয়ায় নদীপথে ট্রলার বোঝাই করে দীর্ঘদিন থেকে ফেনসিডিল আমদানি করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে মাদকদ্রব্য বিভাগের সদস্য, পুলিশ দু’চারজনকে মাদকদ্রব্যসহ আটক করলেও অভিযানের ধরনে ঈশ্বরদীবাসী খুশি হতে পারেন না। র্যাব-১২ এর সদস্যরা সম্প্রতি পাঁচদিনে পৃথক তিন অভিযানে মাদক আমদানির পাঁচ গডফাদারকে ৮৬৮ ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেছে। এদিকে ভারতীয় শাড়ি থ্রিপিস আমদানি হওয়ার কারণে ঈশ্বরদী বেনারশি পল্লীতে উৎপাদিত বেনারশি শাড়ি এবং দেশীয় তাঁতের শাড়ির বাজার শোচনিয় হয়ে পড়েছে। আলাউদ্দিন আহমেদ/এমজেড/পিআর
Advertisement