দেশজুড়ে

শাজনীন হত্যা : রাতে কার্যকর হচ্ছে শহীদুলের ফাঁসি

বহুল আলোচিত শাজনীন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহীদুল ইসলাম শহীদের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার রাত ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

Advertisement

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ফাঁসি কার্যকরের সময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম, কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। জেলখানার প্রধান জল্লাদ রাজু ও তার কয়েক সহযোগী ফাঁসির আদেশ পালনে প্রস্তুত রয়েছে।

জেলার জানান, বুধবার দুপুরে দণ্ডপ্রাপ্ত শহীদুলের ছোট ভাই মুহিদুল ইসলাম এবং তার স্বজনরা শহীদুলের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন। শহীদুল এ সময় পরিবারের সদস্যদের উপদেশমূলক কথাবার্তা বলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে শিল্প গ্রুপ ট্রান্সকমের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমান ঢাকার গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত রায় দেন।

Advertisement

রায়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৮ বছর পর গত বছরের ২৯ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চে হাইকোর্টে ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামিদের আপিলের শুনানি শুরু হয়। তিন সদস্যের ওই বেঞ্চের অপর দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

গত ৫ এপ্রিল বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি মো. ইমান আলীকে যুক্ত করে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করা হয়। ৬ এপ্রিল থেকে ওই বেঞ্চে আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়। ২ আগস্ট আসামিদের মধ্যে শহীদুল ইসলাম শহীদের ফাঁসির রায় বহাল রেখে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। বাকি চারজনকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন।

আমিনুল ইসলাম/আরএআর/এমএস

Advertisement