আইন-আদালত

আদালতের ইচ্ছায় খালেদা জিয়ার হাজিরা!

জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। কিন্তু এদিন বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে সিপিবি-বাসদ জোট ও আটদলীয় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।

Advertisement

হরতালের কারণে ওইদিন সকালে আদালতে হাজির হবেন না তিনি। তাই আদালতে সময়ের আবেদন দাখিল করবেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি ওইদিন আদালতে হাজির হবেন না। আর যদি সময়ের আবেদন মঞ্জুর না করেন তাহলে বেলা ২টার দিকে আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন তিনি। দুই মামলায় খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জামিনে রয়েছেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার জাগো নিউজকে বলেন, রাজনৈতিক দলের হরতাল থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না। তাই আমরা সময়ের আবেদন দাখিল করব। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করলে ভালো আর মঞ্জুর না করলে তিনি বেলা ২টার দিকে আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।

এদিন বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়া এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে।

Advertisement

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুদক।

Advertisement

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জেএ/এমআরএম/জেডএ/জেআইএম