শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার গোসাইরহাট ইউনিয়নের সাইক্ষ্যা গ্রামে কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকার জনসাধারণের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার মোকাররম হোসেন (রিপন) বেপারীর সাইক্ষ্যা মৌজায় বি.আর এস ২১৯ খতিয়ানে ৬৭৯,দাগের ২৫ শতাংশ, ৬৮০ নং দাগের ৪৪ শতাংশ, ৬৮১ নং দাগের ৭০ শতাংশ বি আর এস ২১৮ খতিয়ানের ৬৭৮ নং দাগ-১৮, শতাংশ বি আর এস ২২০ খতিয়ানের ৬৭৮ নং দাগের ৭ শতাংশ এ এবং বি আর এস ২১৭ খতিয়ানের ৬৭৭ নং দাগের ৭৯ শতাংশ নালিশী ভূমি স্থানীয় মো. বাচ্চু গাজী গং দখল করতে চাইলে মোকাররম হোসেন বেপারী কোর্টের মাধ্যমে নিষেধজ্ঞা জারি করেন। পরে গোসাইরহাট থানার মাধ্যমে বলা হয় বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মোতাবেক উক্ত ভূমিতে শান্তিভঙ্গের সম্ভাবনা রহিয়াছে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ আবস্থান বজায় রাখিবেন। কিন্তু গোসাইরহাট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় দেশীয় অস্ত্র লাঠি-সোটা নিয়ে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাড়ের জমি দখল করেন মো. বাচ্চু গাজীসহ প্রায় ১০/১২ জন সন্ত্রাসী।মোকাররম হোসেন (রিপন) জাগো নিউজকে বলেন, আমার ছোট ভাই মনির হোসেন (স্বপন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫৪ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেন। যার কারণে আমার পরিবারের সবাই নির্বাচন করতে ঢাকা চলে যাই এবং এই সুযোগে স্থানীয় গোসাইরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর সন্ত্রাসী বাচ্চু গাজী গং জমি দখল করেন। এ ব্যাপারে সন্ত্রাসী বাচ্চু বহিনীর বিরুদ্ধে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও মহাপুলিশ পরিদর্শক বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি। বর্তমানে বাচ্চু কাজী গং আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।ভুমিহীন আ. রশিদ সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের সরকারি কার্ড করে দিয়েছে বাচ্চু ভাই। এজন্য তার কথা মতো আমরা ঘর উত্তোলন করে বসবাস করছি।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন বলেন, বাচ্চু কাজী মেম্বর হওয়ার পর থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে গ্রামের লোকজন কোনো কথা বলেন না। আ. রশিদ, সিকদার, কাদের সরদার, খোরশেদ সরদারসহ সাধারণ মানুষকে জমি দেবে বলে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। এ ব্যাপারে মেম্বর বাচ্চু কাজী দাবি করে জাগো নিউজকে বলেন, আমি দরিদ্র ভূমিহীন ব্যক্তিদের খাস জমি বরাদ্দের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করলে প্রশাসন তাদের জমি বন্দোবস্ত প্রদান করেন এবং দখল বুঝিয়ে দেন। এ ব্যপারে আমার কোনো অবৈধ সম্পৃক্ততা নেই। গোসাইরহাট ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নবীন চন্দ্র দাসকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে ফোন করলে তিনি বলেন আমি ঢাকা আছি। অভিযুক্ত জমি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।গোসাইরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাগির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আপনারা থানায় শরণাপন্ন হন। আমি গোসাইরহাট থানায় বলে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে কথা বলতে গোসাইরহাট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) মিজানকে পাওয়া যায়নি তবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) বলেন, শান্তিভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ অবস্থা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। রাতে জমি দখল হয়েছে তা আমি জানি না।মো. ছগির হোসেন/এমজেড/পিআর
Advertisement