বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার সফরের তৃতীয় দিনে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে এক সমাবেশে ক্ষমার বার্তা ছড়িয়ে দিলেন খ্রিস্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। বুধবার ইয়াঙ্গুনের এক ফুটবল মাঠে দুই লাখের বেশি ক্যাথলিক খ্রিস্টানের উন্মুক্ত ওই সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি।
Advertisement
বার্তাসংস্থা এপি বলছে, পোপের ভাষণের সময় ইয়াঙ্গুনের কিয়াক্কাসান গ্রাউন্ড পার্কে ছিল আনন্দের বন্যা। সমাবেশে বিভিন্ন ধরনের সাজ-সজ্জা ও পোপের ছবি সম্বলিত টুপি পড়তে দেখা যায় অনেককে।
ধর্মোপদেশ দেয়ার সময় মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘুগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীর কয়েক দশকের সংঘাত ও মানুষের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন পোপ ফ্রান্সিস। যা দেশটির বিভিন্ন অংশে এখনো চলমান আছে।
খ্রিস্টান এই ধর্মগুরু বলেন, আমি জানি যে, মিয়ানমারে অনেকেই সহিংসতার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন; যা অনেক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান। তিনি সবাইকে ক্ষমা ও সমবেদনার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ঐতিহ্যগত বৌদ্ধ সংস্কৃতির ধাঁচে নির্মিত মঞ্চ থেকে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, প্রতিশোধের পথ যীশুর দেখানো পথ নয়।
Advertisement
বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, ইয়াঙ্গুনে খোলা আকাশের নিচে পোপের এই সমাবেশে প্রায় ২ লাখ ক্যাথলিক খ্রিস্টান অংশ নিয়েছেন। এসময় অনেকের হাতে মিয়ানমারের পতাকা দেখা যায়। দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঐতিহ্যবাহী রঙিন পোষাকেও অনেকে সমাবেশে অংশ নেন।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ ৫ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের মিয়ানমারে ক্যাথলিকের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। স্থানীয় জাতিগত সংখ্যালঘু আখা গোষ্ঠীর সদস্য ৮১ বছর বয়সী মিও বলেন, আমি কখনই স্বপ্ন দেখতাম না যে; জীবনে পোপকে দেখতে পাব। দেশটির শান রাজ্য থেকে পোপকে দেখতে ইয়াঙ্গুনে এসেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উদ্দেশে নেইপিদো ত্যাগ করবেন পোপ ফ্রান্সিস।
এসআইএস/আইআই
Advertisement