বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের নলকা সেতুসহ বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের উল্লাপাড়া উপজেলার দেলুয়া সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। টানা বৃষ্টির কারণে সেতুর উপর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকাসহ শাহজাদপুর, চান্দাইকোনা সড়কের অন্তত ৩০ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে খানাখন্দ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যানবাহনের চালকসহ চলাচলকারী যাত্রীদের। সেতু দুটিতে কোন বিপর্যয় দেখা দিলে ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সরাসারি যোগাযোগ বন্ধ হবার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তবে স্থানীয় সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে ঈদকে সামনে রেখে যানবাহন চলাচল উপযোগী সংস্কার কাজ করা হবে। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু তৈরির আগে সিরাজগঞ্জ থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলাচলের জন্য নলকা সেতুটি তৈরি করা হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হলেও এই সড়কটি মহাসড়কে রূপ নেয়। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর যানবাহন এ সেতুর উপর দিয়েই পার হতে হয়। যানবাহন চলাচলের কারণে নলকা সেতুটির অবস্থা এখন খুবই নাজুক। সেই সাথে উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলুয়া সেতুটিও স্বাধীনতার আগে স্থাপন করা হলেও তা আর নতুন করে সংস্কার না করায় এটিরও এখন বেহাল অবস্থায় রয়েছে।উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে হাজার হাজার যানবাহন প্রতিদিন এই সেতু দুটি দিয়ে চলাচল করছে। যে কারণে প্রায় অর্ধশত বছর আগে নির্মিত পূর্ব দেলুয়া সেতুটি এখন সম্পূর্ণ রূপে ঝুকিপূর্ণ। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই দুটি সেতু এলাকায় জমে যায় যানজটের দীর্ঘ বহর। একই সাথে শাহজাদপুর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। এই সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীসহ চালকদের। এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাসের চালক ইসমাইল হোসেন জানালেন, নলকা সেতুসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে নলকা সেতু এখন বিপজ্জনক বলেও মনে হয়। যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও তিনি জানান। অবিলম্বে সেতুসহ মহসড়কটি মেরামতের দাবি জানান তিনি। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিএম এমদাদুল জানালেন, মহাসড়কে খানাখন্দ থাকার কারণে মহাসড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতেও সমস্যা হচ্ছে। খুব শীঘ্র সেতুসহ মহাসড়কটি মেরামত না করা হলে ঈদের আগে যানবাহনের চাপ কিভাবে সামাল দেবে তা নিয়েই তিনি চিন্তিত বলেও জানালেন। জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানালেন, বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর উত্তরবঙ্গে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। অথচ এ সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল দীর্ঘদিন আগে। যে কারণে সেতু দুটি নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিরাজগঞ্জের অধীনে থাকা ৮৫ কিলোমিটার রাস্তার কিছু অংশের অবস্থা খারাপ স্বীকার করে এই কর্মকর্তারা জানান, মহাসড়কটি সংস্কারের জন্য বড় পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। বাদল ভৌমিক/এসএস/এমএস
Advertisement