অর্থনীতি

‘আমাদের চাষি-শ্রমিকরা ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমান’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, শিক্ষা-দীক্ষা কম হলেও বাংলাদেশের চাষি এবং শ্রমিকরা ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমান। তাদের বুদ্ধির কারণেই সরকার যেসব কৌশল ও কার্যক্রম গ্রহণ করে তাতে সাফল্য আসে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ইনভয়েস কনফারেন্স’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মুহিত বলেন, আমরা খুবই সৌভাগ্যবান, আমাদের দেশের জনগণের শিক্ষা-দীক্ষা অনেক কম। কিন্তু সে চাষি কিংবা শ্রমিক হোক তারা ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমান। তাদের একটি জিনিস বুঝিয়ে দিলে অতি সহজে তা আত্মস্ত করে নেন।

‘আমরা যেসব কৌশল, কার্যক্রম গ্রহণ করি তার সাফল্যের প্রধান কারিগর তারা। তারা বুঝে আত্মস্ত করতে পারে। যার ফলে আমরা যেসব পদক্ষেপ নেয়, তা যেভাবে পরিকল্পনা করি, সেভাবেই এটা সফল হয়’ বলেন অর্থমন্ত্রী।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, এ সরকার আসার পর ২০০৯ সালে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। তখন আমরা চিন্তা করলাম কি করব। অর্থনৈতিক মন্দা যখন হয় বিশ্বে, তখন সব থেকে বড় সমস্যা বৈদেশিক বাণিজ্যে আঘাত আসে। এতে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে।

এ জন্য ২০০৯ সালে অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে চাঙ্গা করার পদক্ষেপ নিলাম। যাতে রফতানি কিছু কমে গেলেও বাজারে পণ্য সরবরাহ কমে না যায়। এ নীতি অবলম্বন করে আমরা দারুণ সফলতা পেয়েছি এবং এখনও সেই নীতিটাকে অবলম্বন করে চলেছি- যোগ করেন মুহিত।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পলিসি দারিদ্র্য দূর করা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন যত হবে, অভ্যন্তরীণ বাজার তত প্রসারিত হবে। আমাদের দারিদ্র্যের হার ৭-৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। তার জন্য আগামী ১০-১৫ বছর দারিদ্র্য বিমোচনকে ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক পলিসিতে রাখতে হবে। যে সরকারই আসুক এটা তাদের করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের মধ্যে স্থির করে দিয়েছেন ইনোভেশনকে সব সময় গ্রহণ কর এবং ইনসেটিভ দাও। ইনোভেশনকে কীভাবে ইনসেটিভ দেয়া যায় সেটা আমাদের একটা লক্ষ্যমাত্রা আছে। আমরা নানাভাবে চেষ্টা করছি, যেসব ক্ষেত্রে নতুন কিছু ইনোভেশন হয়েছে, সেটা কীভাবে আর একটু সহজভাবে হতে পারে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে আপনারা ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক।

এমএএস/জেএইচ/আইআই