আগের ম্যাচেই এই আসরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ (২১৩) দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল খুলনা টাইটান্স। স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংসকে এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছিল সেদিন তারা। একদিন পরই সেই খুলনা যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। এক কথায় ছন্দপতন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের নিয়ন্ত্রীত বোলিংয়ের সামনে ১৮.২ ওভারে মাত্র ১১১ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ফলে কুমিল্লার সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১১২ রান।
Advertisement
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা টাইটান্স। ওভারের চতুর্থ বলে রিলে রুশোকে সাজঘরে ফেরান কুমিল্লার স্পিনার মেহেদী হাসান। কোন রান না করেই রুশো ফিরে যান সাজঘরে। আরেক ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত ফেরেন ৮ রান করে।
আগের ম্যাচে সবার নজর কেড়ে নেয়া অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব আজ করেন মাত্র ৮ রান। আর ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পাওয়া নিকোলাস পুরান করেন ৭ বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ২৪ রান করেন আরিফুল হক। যাতে ছিল একটি মাত্র চারের মার। আর দলীয় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১৪ রান। খুলনার আরেক হার্ড হিটার কার্লোস ব্র্যাথওয়েটও ছিলেন আজ ব্যর্থ। ১৪ বলে ১৩ রান করে তিনিও সাজঘরে ফেরেন।
Advertisement
তবে শেষ দিকে কাইল অ্যাবোটের ১৬ আর শফিউলের ১৬ রান খুলনাকে ১০০ রান পার করতে সাহায্য করে। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে আল-আমিন ও শোয়েব মালিক ৩টি করে উইকেট নেন। মেহদী, ব্র্যাভো, হাসান আলি এবং সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন।
এমএএন/আইএইচএস/এমএস