একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে পলাতক এক আসামি হাজির হওয়ার বিষয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিন অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
মামলায় জীবিত আসামিরা হলেন- নেত্রকোনার দুর্গাপূর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান (৭২), তার ভাই মো. আজিজুর রহমান (৬৫), একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী (৮২) এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ (৮৮)।
শুরুর দিকে মামলায় আসামি ছিলেন পাঁচজন। এর মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। খলিলুর রহমান ছাড়া বাকিরা গ্রেফতার রয়েছেন।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা।
Advertisement
মাসুদ রানা জানান, আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক এক আসামি আজিজুর রহমানকে হাজির করার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
গত ৩০ জানুয়ারি তদন্ত সংস্থা মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আাসমিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে তদন্ত শুরু হয়ে ৩০ জানুয়ারি শেষ হয়।
এ মামলায় একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার দুইজনসহ মোট সাক্ষী ৮২ জন। অভিযুক্তরা ১৯৭১ সালে দুর্গাপূর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
Advertisement
অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুইজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাতটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটায়।
এফএইচ/জেডএ/এমএস