এই তো এ বছরের গোড়ার দিকেই বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশন আয়োজন করেছিল রোলবল বিশ্বকাপ। দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর তালিকায় রোলার স্কেটিং অনেক পেছনে থাকলেও তারা সফলভাবেই আয়োজন করেছিল ৩৯ দেশের ৭ শতাধিক প্রতিযোগির টুর্নামেন্ট।
Advertisement
ফেব্রুয়ারিতে ওই টুর্নামেন্ট ঘিরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ক্রীড়া উৎসবের আবহ। স্টেডিয়াম চত্বরে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পেরেছেন দেশি-বিদেশি ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকরা। কিন্তু চলমান এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে তার উল্টো পরিবেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ভেতরের পরিবেশটা ফিটফাট হলেও বাইরের পুরোটাই যেন সদরঘাট।
৩৩ দেশের প্রায় চারশত আরচার-অফিসিয়াল অংশ নিচ্ছে ২০ তম এই এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে। অথচ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চত্বরে ঢুকলে বোঝার উপায় নেই, এখানে এতগুলো দেশের ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের নিয়ে চলছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই আরচারি টুর্নামেন্ট।
বছরের অন্যসব দিনগুলোর মতোই জঞ্জালে ভরা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বর। কোথাও হাঁটার জায়গা পর্যন্ত নেই। শো শো করে চলছে প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান, মটর সাইকেল, সিএনজি অটো রিক্সা, ট্যাক্সি।
Advertisement
যান্ত্রিক এ যানবাহনগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিচেছ রিক্সা ও ভ্যান। সঙ্গে স্টেডিয়াম মার্কেটে কেনাকাটা করার মানুষ তো আছেই। এ সব কিছু মিলিয়ে একটা বাজে অবস্থা দেশের প্রধান এ ক্রীড়া ভেন্যুটির পরিবেশ।
মঙ্গলবার দুপুরে ১ টার দিকে চাইনিজ তাইপের দুইজন আরচারকে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের পাশ থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢুকতে অনেকটা ঘাম ঝরাতে হয়েছে। এক পা সামনে বাড়ান তো দুই পা পেছনে হটেন দ্রুতগতির যানবাহনের কারণে।
অল্পের জন্য তো রিক্সার আঘাত থেকেই বেঁচে গেলেন তারা। বিড়বিড় করে কি যেন বলছিলেন ওই দুই ভিনদেশি। তাদের কথা কেউ বোঝেননি। তবে তাদের মুখবয়ের অভিব্যক্তি যে বিরক্তকর ছিল, তা বোঝার জন্য ভাষা বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই কারো। প্রশ্ন হচ্ছে-কোনো বিদেশি যদি স্টেডিয়াম চত্বরে দূর্ঘটনার শিকার হন তার দায় কে নেবে?
দায় এড়ানোর চেষ্টা অবশ্য চলছে। এই যেমন মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপলকে স্টেডিয়াম এলাকার এমন পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এক বাক্যে বলে দিলেন ‘এটা তো আমাদের কাজ না। আমরা তো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বলেছি। আবারো বলবো, আস্তে আস্তে আরো কমে যাবে।’
Advertisement
আরআই/এমএমআর/জেআইএম