গোয়েন্দা নজরদারিতে আছেন আইসিডিডিআরবির কর্মী মঙ্গল সংঘের শীর্ষ নেতারা। চলমান আন্দোলন ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে শীর্ষ দু’একজন কর্মকর্তাকে যে কোন সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা গ্রেফতার আতঙ্কের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে তাদের নানাভাবে আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ না শুনলে তারা বিপাকে পড়তে পারেন বলে ভদ্রভাবে শাসানো হচ্ছে।শুধু গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাই নয়, সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ জাতীয় স্বার্থের দোহাই দিয়ে আন্দোলনের গ্রহণযোগ্য পরিসমাপ্তি টানার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তার অপসারনের দাবী থেকে সরে আসতে নানামুখী চাপ আসছে। ২৬ জুন থেকে অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে কর্মী মঙ্গল সংঘ। এ সংঘের সদস্যসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪হাজার। এর মধ্যে ঢাকা আইসিডিডিআরবিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। সর্বশেষ গত বুধবার সমাবেশ থেকে নেতারা জানান, তাদের সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সভায় বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবী মেনে নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও সিওও’র অপসারনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ সময় আন্দোলনকারীরা যে কোন মূল্যে তাকে হটানোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেতাদের কাছে জোর দাবী জানাতে থাকেন।ওই দিনই স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম কর্মী মঙ্গল সংঘের নেতাদের ডেকে পাঠান। তিনি আন্দোলনের ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে অবহিত হন। জানা গেছে, গত দুই দিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামসহ নীতিনির্ধারকদের সাথে কর্মী সংঘের নেতাদের একাধিক বৈঠক হয়। বৈঠকে সরকারের শীর্ষ নির্ধারকরা সিওও এর অপসারণের দাবী থেকে তাদের সরে আসার উপদেশ দেন। অন্যথায় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। এ ব্যাপারে শনিবার কর্মী মঙ্গল সংঘের সাধারন সম্পাদক ড. ফিরোজ আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি নানামূখী চাপ ও গ্রেফতারের আশঙ্কার কথা স্বীকার করে বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা যে অহিংস আন্দোলনে নেমেছেন তা থেকে ফিরে আসবেন না। তিনি বলেন, কর্মী মঙ্গল সংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে দুই দফায় বিনা ভোটে নেতা নির্বাচিত করেছেন। তাই তাদের মঙ্গলের জন্য জেলে যেতেই তিনি প্রস্তুত আছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এমইউ/এআরএস/এমএস
Advertisement