যৌতুকের মামলায় স্বামী পারভেজ সানজারির জামিনের বিরোধিতা করে কণ্ঠশিল্পী মিলা ইসলাম আদালতকে বলেন, ‘সে (সানজারি) কোনো ধরনের আপস মানছে না। আমার থেকে সে পলাতক। আমার স্বামী আছে কিন্তু সে কোথায়?’
Advertisement
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে মিলার স্বামী সানজারি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন আবেদন করেন। এ সময় সানজারির জামিনের বিরোধিতা করে তিনি এসব কথা বলেন।
মিলা বলেন, ‘আমি তার (সানজারি) সঙ্গে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি। আমার আব্বাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। তাকে ফোন দিলে সে আমার ফোন ধরে না। কোনো রিপ্লাই দেয় না। তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সুরাহা হচ্ছে না। তাই তার জামিন বাতিলের অনুরোধ করছি।’
সানজারির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু আদালতকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর সানজারির ভেতর একটা আতঙ্ক ঢুকে গেছে। সে ঠিকমত ঘুমাতে পারছে না। তার (মিলা) সঙ্গে সংসার করা যায় না। মামলার বাদীনির টার্গেট হচ্ছে সানজারির যেন চাকরিটা চলে যায়।’
Advertisement
শুনানি শেষে বিচারক উভয় পক্ষকে সমঝোতার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘তারা প্রেম করে বিয়ে করেছেন। চেষ্টা করে দেখেন সংসারটা টেকানো যায় কি না।’ এরপর আদালত আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সানজারির জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে মিলা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর মিলাকে মারধর করা হয়। এর আগে তার স্বামী সানজারি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন।
মামলায় আরও বলা হয়, যৌতুক নেয়ার পর সানজারি আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেয়ে তাকে মারধরও করেছেন। একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মিলার প্রেমের সম্পর্কের পর গত ১২ মে তারা বিয়ে করেন।
মামলা দায়েরের পরই সানজারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সানজারিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Advertisement
এরপর গত ৯ অক্টোবরও আদালত এ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। আপস সত্ত্বেও গত ২৫ অক্টোবর সানজারি মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
জেএ/বিএ