শুরুতে ব্যাটসম্যানরা। খুলনার ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডবে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ২১৩ রানের স্কোর গড়ে খুলনা টাইটান্স। এরপর বল হাতে রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানদের ওপর তাণ্ডব বইয়ে দেন পেসার শফিউল ইসলাম। মাঝে একম্যাচ বসিয়ে রাখা হয়েছিল শফিউলকে। কিন্তু আজ দলে ফিরেই তিনি রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানদের দাঁড়াতেই দিলেন না। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে একাই তুলে নিলেন ৫ উইকেট। ফলে রাজশাহীকে ৬৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা টাইটান্স।
Advertisement
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আজ শুরুতে ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন খুলনা টাইটান্সের ব্যাটসম্যানরা। ২১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা রাজশাহীর বিপক্ষে বোলিংয়ের সময় বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন শফিউল। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে ১ ওভার হাতে রেখেই ১৪৫ রানে অল আউট হয়ে যায় রাজশাহী কিংস।
এই জয়ের ফলে খুলনা টাইটান্সের সুপার ফোর প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল বলা যায়। শুধু তাই নয়, ঢাকাকে হটিয়ে আবারও শীর্ষে চলে এল খুলনা। ৯ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১৩। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ঢাকার পয়েন্ট ১৩। এই হারের ফলে জটিল সমীকরণে পড়ে গেল রাজশাহী কিংসের শেষ চারে যাবার হিসাব-নিকাশ।
রাজশাহীর দুই ওপেনারই ছিলেন আজ ব্যার্থ। লুক রাইট ১ আর মুমিনুল হক মাত্র ১১ রান করেই আউট হয়ে যান। তবে খুলনার হয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন রনি তালুকদার। এক ছক্কা ও পাঁচ বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ বলে ৩৬ রান সংগ্রহ করে আউট হন তিনি।
Advertisement
এরপর মিরাজ বাদে রাজশাহীর আর কোন ব্যাটসম্যানই ২০ রানের ঘরে পৌছাতে পারেননি। মিরাজ করেন ২৩ বলে ২৯ রান। যদিও রাজশাহী ম্যাচ হারাতে মিরাজের এই রান কোন কাজেই লাগেনি।
খুলনার বোলারদের মধ্যে শফিউলের ৫ উইকেট ছাড়াও আবু জায়েদ রাহী পেয়েছে ২টি উইকেট। জোফরা আর্চার, মাহমুদউল্লাহ ও আরিফ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে খুলনার ব্যাটসম্যানরা ছক্কা-চারের ঝড় বইয়ে দেন জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। আফিফ-শান্ত-নিকোলাস পুরান এবং ব্র্যাথওয়েটের ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ করে ২১৩ রান।
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement