আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের শর্তের ওপর আজ রোববার গ্রিসে গণভোট শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। আশা করা হচ্ছে রাত ৯টার মধ্যে ভোটের প্রাথমিক ফল জানা যাবে। আর এ মাধ্যে খোলাশা হয়ে যাবে কোথায় থাকছে গ্রিসের অবস্থান। খবর :এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি অনলাইন। এ ভোটের রায়ের ওপরই নির্ভর করবে ঋণখেলাপি বলে সদ্যঘোষিত গ্রিস কঠোর কৃচ্ছ্রর শর্তে আর কোনো ঋণ নেবে কি না। দেশটি ইউরোজোনে থাকবে কি না তাও নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে এ ভোটের মাধ্যমে। দেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা এ ভোট সামনে রেখে শনিবারও প্রচার-প্রচারণায় সরগরম ছিল গ্রিস। তবে যাদের ভোটে মীমাংসা হবে, সেই ভোটারদের অনেকেই আছেন দোলাচলের মধ্যে। উভয় সংকটে পতিত গ্রিকরা এখনও বুঝে উঠতে পারছে না কোনটি তাদের জন্য ভালো হবে। গণভোট নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে রয়েছে দেশটি। ভোটের আগের দিন শনিবারও গ্রিসের অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারোফাকিস আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাস `না` ভোটের সমর্থনে একটি বিশাল সমাবেশে অংশ নেন। তিনি তার সমর্থকদের আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের শর্তের ওপর গণভোটে `না ভোট` দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী সিপরাস বলেন, গ্রিসের মর্যাদা রক্ষা করা প্রয়োজন এবং বুক ফুলিয়ে না ভোট দেওয়া উচিত। তবে কাছাকাছি একটি স্থানে অপর একটি সমাবেশে অংশ নেওয়া আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের প্রস্তাব সমর্থনকারীরা প্রস্তাব বিরোধীদের হুঁশিয়ার করেছেন। তাদের যুক্তি হলো, না ভোট জয়ী হওয়ার অর্থ হলো ইউরোজোন থেকে গ্রিসের বেরিয়ে যাওয়া। হ্যাঁ ভোটের সমর্থকরা বলেন, ইউরো থেকে বেরিয়ে গেলে দুর্দশার অন্ত থাকবে না। এএইচ/এমএস
Advertisement