বিশেষ প্রতিবেদন

৭ মার্চ জাতীয় দিবস ও ছুটি ঘোষণার উদ্যোগ

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় এ দিনটিকে জাতীয় দিবস ও সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

Advertisement

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি পেয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর এ ঘোষণা দেয় ইউনেস্কো।

৭ মার্চ সাধারণ ছুটি ও জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হবে কি-না জানতে চাইলে রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জাগো নিউজকে বলেন, এটা হয়তো হবে। তবে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব আসতে হবে। তারা চাইলে সেটি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Advertisement

জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে বলেন, ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আবেদন আসছে। এ প্রস্তাব নিয়ে আমরাও আলোচনা করছি।

এ সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠাবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যদি সিদ্ধান্ত নেই তবে তো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবেই। তবে সম্ভাবনা আছে।

এদিকে ঐতিহাসিক এ দিনটিকে (৭ মার্চ) কেন জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে গত ২০ নভেম্বর রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, গণপূর্ত সচিব, সংস্কৃতি সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

পরে গত ২৫ নভেম্বর সরকারি চাকুরেদের পক্ষ থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীতে শোভাযাত্রা শেষে সভা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সে অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণ দেশের মানুষকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জনে উদ্দীপ্ত করেছিল। অলিখিত এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছেন- ‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

ওই মাসেরই ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

আরএমএম/এএইচ/আইআই