বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শুরুর আগের দিন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক সেকান্দার আলিকে লাঞ্ছিত করার জন্য এই ক্ষমা চাইলো বিসিবি। ঘটনার দিন সকালে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এক সময়ের জাতীয় হকি খেলোয়াড় ও বর্তমানে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ-এ কর্মরত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সেকান্দার আলীকে লাঞ্ছিত করে বিসিবি’র নিরাপত্তাকর্মীরা।
Advertisement
এ বিষয়ে সেকান্দার আলি বলেন, “শের-ই-বাংলার ইনডোর থেকে মূল মাঠে আসার করিডোরে দাঁড়িয়ে আমি দলের ফিল্ডিং অনুশীলন দেখছিলাম। হঠাৎ দুজন নিরাপত্তাকর্মী এসে আমার অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেখতে চান। আমি বলি যে কার্ড এখনও দেওয়া হয়নি বিসিবি থেকে। আমি অফিসের আইডি কার্ড দেখাই। তবু তারা জেরা করতে থাকে। এরপর একজন পুলিশ সদস্য এসে আমাকে বলতে থাকে ‘আপনার আচরণ সন্দেহজনক।’ আমি বারবার বলেছি যে আমি প্রতিদিনই স্টেডিয়ামে আসি পেশাগত কাজে। কিন্তু তারা কান দেননি। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য আমাকে সজোরে ধাক্কা মারেন। ছিটকে গিয়ে গ্যালারির গ্রিলের সঙ্গে আমি আছড়ে পড়ি। হাতে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি।”
উল্লেখ্য, রোববার থেকে শুরু হওয়া সিরিজের জন্য বিসিবি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দিয়েছে শনিবার দুপুরে। অর্থাৎ ঘটনার সময় কারো কাছেই অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড থাকবার সুযোগ ছিল না। পরে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই নিরপত্তাকর্মীদের একজন পরে বিসিবির প্রধান নিবার্হীর কক্ষে ক্ষুব্ধ সংবাদকর্মীদের সামনে স্বীকার করেছেন, সেকেন্দার আলিকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তারপরও ওই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা দুঃখিত যে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। আমরা নিশ্চিত করব, যেন এমন কিছু ভবিষ্যতে আর কখনও না হয়।”এসআরজে
Advertisement