সমুদ্র অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) বিকাশ ঘটাতে সমুদ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। তাই এ অঞ্চলের সমুদ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব সবার। সবার ঐকান্তিক চেষ্টা না থাকলে সমুদ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নৌবাহিনীর ঐক্য প্রয়োজন।
Advertisement
কক্সবাজারের ইনানীর রয়েল টিউলিপ হোটেলে ‘ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়াম-মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এক্সারসাইজ (আইএমএমএসএআরইএক্স)’ সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেছেন। সোমবার দুপুরে এ মহড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
ব্লু ইকোনোমির গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোকে মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা সবাই সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন আছি। সাগরের সম্পদ উত্তোলন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র খাতের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই সমৃদ্ধ এ মেরিটাইম ইকোনোমির উন্নতি হতে পারে। এ কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার নৌবাহিনীর উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়াতেও কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সরকারের ব্লু ইকোনমি এজেন্ডা বাস্তবায়নে নৌবাহিনী সাগরে অতন্দ্র অভিভাবকের মতো কাজ করছে। এভাবে সাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের সামরিক প্রধান ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন দেশের মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
মহড়ায় ৪১টি যুদ্ধজাহাজ, ৩টি মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট ও ৪টি হেলিকপ্টার নিয়ে অংশ নিচ্ছে ভারতীয় মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৩টি দেশ। এ মহড়ায় পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকছে চীন, জার্মানি, ইতালি, জাপানসহ ৯টি দেশের প্রতিনিধি।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম
Advertisement