ভোলা জেলাসদরসহ ৭ উপজেলায় ঈদে বাড়ি ফেরা ৫ লাখ মানুষকে নির্ভর করতে হয় মাত্র ২১টি লঞ্চের ওপর। এর মধ্যে মাত্র ৮টি লঞ্চ আধুনিক চলাচলে উপযোগী। বাকি ১৩টি চলছে জোড়াতালি দিয়ে। ঈদ মৌসুমে ধারণক্ষমতার ৪/৫ গুণ যাত্রী বহন করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে পারছে না কোনটিই। এবারও এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২০ দিন আগেই কেবিন ও সিট বুকিং টিকেট শেষ হয়ে গেছে। এ ধরনের সংকট দূর করতে ভোলা-ঢাকা রুটে বিআইডব্লিউটিসির স্পেশাল স্টিমার সার্ভিস চালু করার দাবি জানিয়েছেন জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।ভোলা স্বার্থ রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভোলা জজশীপের এজিপি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও এপিপি অ্যাডভোকেট শংকর গাঙ্গুলী জাগো নিউজকে জানান, ভোলাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে স্টিমার বা রকেট সার্ভিস চালু করা জরুরী। বিআইডব্লিউটিসি’র জন্য লাভজনক খাতও হতে পারে।বিআইডব্লিউটিসি’র ভোলা অঞ্চলের ম্যানেজার আবু আলম জানান, ঈদ উপলক্ষে ভোলায় বাড়ি ফেরা যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। এদের পারাপারে থাকা ২১টি লঞ্চের মধ্যে ভোলা জেলা সদর-ঢাকা রুটে যাতায়াত করে ৬টি লঞ্চ। চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট-ঢাকা রুটে চলে ৫টি। চরফ্যাশন বেতুয়া রুটে চলে ২টি। লালমোহন-ঢাকা রুটে ৫টি। বোরহানউদ্দিন-ঢাকা রুটে চলে ২টি। দৌলতখান-ঢাকা রুটে চলে একটি।এমভি শ্রীনগর লঞ্চের পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম জানান, ঈদের জন্য ১ জুলাই থেকে কেবিন বুকিং শুরু করা হয়েছে। যারা আগে আসছেন তারা আগে কেবিন পাচ্ছেন। এতে কোনো প্রকার সংকট তৈরি করা হচ্ছে না। ভাড়া আগের নিয়মেই নেয়া হচ্ছে।অনেক যাত্রী জানান, অনেক লঞ্চ স্টাফরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে গোপনে বেশি দামে কেবিনের টিকেট বিক্রি করে থাকেন এমন অভিযোগও রয়েছে। অপরদিকে ৬শ থেকে ৮শ যাত্রী ধারণক্ষমতার লঞ্চে বহন করা হয় ২ থেকে ৩ হাজার যাত্রী।ঈদের ৩/৪ দিন আগ থেকে এমন উপচে পড়া ভিড় সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে লঞ্চ স্টাফদের। এ কারণে ৪ বছর আগে লালমোহন নাজিরপুর ঘাটে এসে ডুবে গিয়ে ছিল এমভি কোকো-৪। এমভি সামিয়া লঞ্চ দুর্ঘটানায় প্রান হারায় ৮শ যাত্রী। এসব কেবলই স্মৃতি আর আতঙ্ক। তাই নিরাপদ যাতায়াতের জন্য নির্ভরযোগ্য রকেট সার্ভিস চালু এখন সময়ের দাবি বলেও জানান স্থানীয়রা।এমএএস/আরআই
Advertisement