মিয়ানমারের উদ্দেশে ভ্যাটিকান ছেড়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। এটাই মিয়ানমারে তার প্রথম সফর। তবে পোপের এই সফরকে কেন্দ্র করে কিছুটা আতঙ্কিত মিয়ানমার। পোপ তার সফরে রাখাইন রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে রোহিঙ্গা বলে উল্লেখ করবেন কিনা তা নিয়ে ভয়ে আছে দেশটি।
Advertisement
কারণ মিয়ানমারের কর্মকর্তা, বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী এমনকি সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা কেউই রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করে না। তারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী মনে করে। তারা রোহিঙ্গাদের বাঙালী বলে। কিন্তু পোপ তার সফরে যদি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেন তবে তা থেকে নতুন করে সহিংসতা শুরুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনদিনের এই সফরে পোপ মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। মিয়ানমার সফর শেষে বাংলাদেশে আসবেন পোপ। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
মিয়ানমারে সফরের সময় কোন বৈঠকে কিংবা ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে পোপকে পরামর্শ দিয়েছেন মিয়ানমারের কার্ডিনাল আর্চবিশপ চার্লস মোং বোর।
Advertisement
সাধারণত এ ধরণের পরামর্শ পোপকে গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি। কিন্তু মিয়ানমারে প্রথমবারের মত কোন পোপের সফরে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়াতে চায় ভ্যাটিকান। সে কারণে এবার তিনি পরামর্শটি মেনে চলবেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে ভ্যাটিকান।
পোপকে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানও এমন পরামর্শ দিয়েছেন। মিয়ানমারে ৬ লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান বাস করে। বুধবার দেশটির এক উন্মুক্ত সমাবেশে পোপ উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া তিনি বৌদ্ধ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ মিয়ানমার সফরের সময় মৈত্রী পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সংকট সমাধানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দেবেন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
টিটিএন/এমএস
Advertisement