দুপুর গড়িয়েছে খানিক আগে। এদিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তখনও। এই মেঘ এই রোদের খেলা চলছে দিনভর। সূর্যের দেখা মিললেও তার স্থায়িত্ব খুবই ক্ষীণ। যতটুকু আলো মিলছে তাতেই যেন রূপ ধরছে না। ফুলের পাপড়ি ঘেঁষে ফুল। বাগান ঘেঁষে বাগান। গোটা ক্যাম্পাসজুড়ে যেন শুধু ফুলেরই বাগান।
Advertisement
সুউচ্চ নয় অথচ তিন তলা, পাঁচ তলা ভবনগুলোই বিশালতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যে বিশালতায় প্রকাশ পাচ্ছে শিক্ষারও। প্রকাশ পাচ্ছে জ্ঞানের ব্যাপকতার। প্রাচীন নকশা আর কারুকার্যে প্রতিটি ভবনই কালের সাক্ষী। চোখের সীমানা ফুরিয়ে আসে, তবু শত শত ভবনের এ ক্যাম্পাসের সীমানা ফুরায় না।
শিক্ষা জগতের অহংকার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপের বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। রূপ আর নানা ইতিহাস-ঐতিহ্যে ঘেরা এর প্রতিটি অঙ্গন সহসাই পর্যটকদের মন কাড়বে।
দেশ-বিদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ বাড়িয়ে তোলে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরাই। শিক্ষার্থী আর পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে রাত-দিন। তবুও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় তুলনা হয় না বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের। যারা বেড়াতে আসেন, তারাও এর রূপে পড়ে গোটা ক্যাম্পাসকে অতি আপন জানেন।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অক্সফোর্ডের সামারভিল কলেজে পদার্থবিদ্যায় গ্রাজুয়েশন করতে এসেছেন উইলিয়াম এরিক। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জীবনের স্বপ্ন ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। ঈশ্বরের কৃপায় সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি গর্বিত বিশ্বখ্যাত এবং সবচেয়ে পুরনো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে।’
ল্যাটিন আমেরিকার উরুগুয়ে থেকে অক্সফোর্ডের হ্যারিস ম্যানচেস্টার কলেজে অ্যানাটমি বিষয়ে ডিগ্রি নিতে এসেছেন মারিয়া লোপাজ। তিনি বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস জ্ঞানের আধার। আমরা সবাই সবার কাছ থেকে শিখি। এমনকি এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকেও আমরা নানা বিষয় ও দেশ সম্পর্কে জানতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা রূপ আমাদের মুগ্ধ করে। এখানকার শিক্ষা আমাদের সফল হতে শেখায়।’
আরএম/এসইউ/এমএস
Advertisement