যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের কংগ্রেস সদস্য জন কনইয়ার্স জানিয়েছেন, তিনি হাউস জুডিসিয়ারি কমিটিতে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের সময়ই তিনি এমন ঘোষণা দিলেন। তবে তিনি নিজের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিজের অবস্থান পরিস্কার করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এই কংগ্রেসম্যান।
Advertisement
এক নারী সহকর্মী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। তিনি জানিয়েছেন, কনইয়ার্সের যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণকে প্রত্যাখ্যান করায় তাকে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিখ্যাত নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কর্মী হিসেবে নাগরিকদের সেবা দিয়ে আসছেন জন কনইয়ার্স। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মীদের আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে দি হাউজ এথিকস কমিটি।
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন মিডিয়া, হলিউড তারকা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঘিরে যৌন হয়রানির অভিযোগের মধ্যেই কনইয়ার্স পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।
Advertisement
মার্কিন কংগ্রেসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে সদস্য থাকা জন কনইয়ার্স ১৯৬৫ সালে সর্বপ্রথম কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৫ সালে কনইয়ার্সের যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণকে প্রত্যাখ্যান করায় একজন কর্মীর চাকরী চলে যায়। সে খবর গোপন রাখতে তিনি ২৭ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন।
কনইয়ার্স তার নারী সহকর্মীদের ওপর বারবার যৌন হয়রানিমূলক আচরণ এবং তাদের শরীরে অপ্রত্যাশিতভাবে স্পর্শ করতেন বলেও আইনি ডকুমেন্টে অভিযোগ রয়েছে বলে দাবী করেছে বাজফিড।
এসব যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের দি হাউস এথিকস কমিটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং এরপর নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন কনইয়ার্স। তিনি এসব ডকুমেন্টকে পক্ষপাতমূলক এবং টাকা-পয়সার বিনিময়ে করা ব্লগারদের কাজ বলে দাবি করেছেন।
টিটিএন/এমএস
Advertisement