১৯৫৮ সালের পর এ প্রথম বিশ্বকাপে নেই চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। ইউরোপিয়ান বাছাই পর্বের প্লে-অফে সুইডেনের কাছে হেরে ৬০ বছরের মধ্যে এমন লজ্জায় আর কখনও পড়তে হয়নি ইতালিকে। শুধু আজ্জুরিরাই নয়, এবারের বিশ্বকাপে খেলতে পারছে না টানা দু’বারের কোপা আমেরিকাজয়ী দল চিলিও।
Advertisement
তবে ইতালি কিংবা চিলির বিশ্বকাপে খেলার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। লাতিন আমেরিকা থেকে প্লে-অফের মাধ্যমে ওশেনিয়ান দল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে নাম লেখানো পেরুর পরিবর্তে। পেরু পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। যে বিলের মাধ্যমে পেরু ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার কথা সরকারের নিয়ন্ত্রণে।
সে ক্ষেত্রে ফিফা থেকেই বহিস্কৃত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল পেরুর। ফিফার আইনেই রয়েছে কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশন যদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়, তাহলে সেই ফেডারেশন ফিফার সদস্য থাকতে পারবে না। পেরুতে যদি সরকারের নিয়ন্ত্রনে ফুটবল ফেডারেশন চলে যায় তাহলে তারাও বহিস্কার হবে এবং বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারাবে।
সে ক্ষেত্রে লাতিন আমেরিকান দেশ চিলি কিংবা ইউরোপের ইতালির সামনে সুযোগ তৈরি হয়ে যেতে বিশ্বকাপে খেলার। কিন্তু পালোমা নোচেদা নামে পেরুভিয়ান কংগ্রেসের এক নারী সদস্য আজ টুইটারের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘পেরু ফুটবল ফেডারেশনকে সরকারের নিয়ন্ত্রনে নেয়ার যে বিল উত্থাপন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে খেলা। সেটা অর্জিত হয়েছে। এখন আমরা সবাই একই ফুসফুস থেকে আওয়াজ বের করে চিৎকার করবো। আনন্দ-উল্লাস করবো।’
Advertisement
পালোমা নোচেদাই পার্লামেন্টে এ বিলটি উত্থাপন করেছিলেন। তার বিলটি পুরোপুরি বাতিল করে দেয়া হয়। টুইটারের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলাম তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
পেরু ফুটবল ফেডারেশন নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের অর্থই হচ্ছে, চিলি কিংবা ইতালির আর বিশ্বকাপে খেলার কোনো সম্ভাবনাই থাকলো না। ১৯৮২ সালের পর এ প্রথম বিশ্বকাপে খেলছে পেরু।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement