দেশজুড়ে

২৭ শহীদ পরিবার পেল সম্মাননা

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামে ঐতিহাসিক কামান্না দিবস সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে। এতে ২৭ শহীদ পরিবারকে সম্মাননা দেয়া হয়।

Advertisement

২৭ শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রোববার দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মাগুরা জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোল্যা নবুয়ত আলী, ঝিনাইদহ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক যুগ্ম সচিব এবং কামান্না ২৭ শহীদ স্মৃতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্বাস লুৎফর রহমান, শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা, আওয়ামী লীগ ঝিনাইদহ জেলা ইউনিট সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিম, শৈলকুপা উপজেলা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার রহমত আলী মন্টু এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শৈলকুপা উপজেলা ইউনিট সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু।

Advertisement

সভায় অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, আব্দুল হাই, একরাম আলী, জহুরে আলম, রেজাউরর রহমান রিজু, অ ম বাবর আলী, বদিউজ্জামান মুকুল, পরেশ কান্তি সাহা, কাজী আফতাব ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুস্তাসিম বিল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার কয়েকশ’ মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পূর্বপুরুষদের এবং শহীদ ২৭ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে চোখের পানিতে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় প্রিয়জনদের স্মরণ করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ২৬ নভেম্বর ভোররাতে শৈলকুপা শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ঘাঁটি অবরোধ করে হানাদার বাহিনী। হামলা চালিয়ে তারা ২৭ মুক্তিপাগল বাঙালিকে হত্যা করে। শহীদদের অধিকাংশের বাড়ি মাগুরা জেলার হাজিপুরে।

হানাদাররা এলাকা ত্যাগ করার পর জীবনে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন ও এলাকাবাসী কামান্না হাইস্কুলের খেলার মাঠের উত্তরপাশে কুমার নদীর পাশে ৬টি গণকবরে মোট ২৭ বীর সন্তানকে কবর দেয়।

Advertisement

আহমেদ নাসিম আনসারী/এএম/এমএস