টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের সেরা দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের সমাবেশ ঘটিয়েছে রংপুর রাইডার্স। একদিনে ক্রিস গেইল। অন্যদিকে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। দুই দানবীয় ব্যাটসম্যান এক সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামলে তো বুক ধুক ধুক করে কাঁপার কথা প্রতিপক্ষ বোলারদের; কিন্তু এবারের বিপিএলে কি-না হয়েছে তার উল্টোটা।
Advertisement
গেইল-ম্যাককালাম জুটি জমছেই না। ক্রিস গেইল টুক-টাক ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারলেও ম্যাককালাম পুরোপুরি ব্যর্থ। রংপুরের ইনিংসের শুরুতেই ম্যাককালামের উইকেটটি পড়বেই- এটা যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যে কারণে বিধ্বংসী একটি দল নিয়েও জয় যেন অধরা রংপুরের কাছে। চট্টগ্রামে স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে আজ টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার পর রংপুরের সামনে দাঁড়ালো ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে যথারীতি দলীয় ৩১ রানে উইকেট হারান ম্যাককালাম। ১৫ রান করে ফিরে যান তিনি।
এরপরই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্যাট হাতে ধীরে ধীরে উইকেটে এসে ক্রিস গেইলের সঙ্গে জুটি বাধেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি ভালো ব্যাট করতে জানেন এটা সবারই জানা। ২০১৫ সালে ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি করে একবার কুমিল্লাকে জিতিয়েছিলেন- এটাও সবাই জানেন। তবে, তখন ব্যাটিং অর্ডারে ৭ নম্বর থেকে তিনি উঠে এসেছিলেন ৫ নম্বরে।
Advertisement
কিন্তু এবার যে খোন তিন নম্বরের মতো কঠিন একটি পজিশনেই ব্যাট করতে নেমে যাবেন, তা তো ঘূর্ণাক্ষরেও কেউ কখনও ভাবেনি। প্রতিপক্ষের সব পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দিয়ে মাশরাফি তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেই রীতিমতো ঝড় তুললেন।
১৭ বল খেলেই করে ফেলেন ৪২ রান। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি বিশাল ছক্কা হাঁকান তিনি। অবশেষে ইনিংসের ১০ম ওভারের ৪র্থ বলে গিয়ে সানজামুল ইসলামের স্লো এবং লো বলে ব্যাট হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রংপুরের রান ৯.৪ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৯২। অন্যদিকে ২১ বলে ৩০ রান ব্যাট করেছেন ক্রিস গেইল।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement