খেলাধুলা

দ্বিতীয় ইনিংসেই ব্যাকফুটে ইংল্যান্ড

প্রথম ইনিংসে লড়াইটা বলতে গেলে হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। ইংল্যান্ডের করা ৩০২ রানের জবাবে ৩২৮ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। লিড পেয়েছে ২৬ রানের; কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই স্বাগতিক বোলারদের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৭ রান করে অ্যালিস্টার কুক এবং ২ রান করে আউট হন প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা জেমস ভিন্স। তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের রান ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩। লিড মাত্র ৭ রানের। ১৯ রান নিয়ে স্টোনম্যান এবং ৫ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন জো রুট।

Advertisement

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো প্রথম ইনিংসে ভরাডুবি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। তবে ঠিক সময় জ্বলে উঠলেন দলের অধিনায়ক স্মিথ। তুলে নিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরির সঙ্গে শন মার্শের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৬ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৩০২ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ৩২৮ রানে।

১৬৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেন স্মিথ ও মার্শ। আগের দিনের জুটিটা খুব বেশি বড় করতে পারেনি এই দুই তারকা। স্কোরবোর্ডে আর ১০ রান যোগ করতেই বিদায় নেন মার্শ। ব্রডের বলে অ্যান্ডারসনকে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।

এরপর দ্রুত বিদায় নেন পাইন (১৩) ও স্টার্ক (৬)। অষ্টম উইকেটে ক্যামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন স্মিথ। তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত ৯৭ রানের মাথায় স্টুয়ার্ড ব্রডের বলে মিড অফ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের একবিংশ সেঞ্চুরি। ২৬৩ বল খেলে ৯টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ক্যারিয়ার সেরা ২১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

Advertisement

ক্যামিন্সের বিদায়ের পর হ্যাজেলহুড (৬) ও লিওন (৯) দলের অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে না পারায় ৩২৮ রানেই শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। আর ১৪১ রানের অপরাজিত থাকেন স্মিথ। ইংল্যান্ডের হয়ে ব্রড নেন ৩ উইকেট। আর অ্যান্ডারসন ও মঈন আলি ২ টি করে উইকেট নেন।

আইএইচএস/আরআইপি