ফিচার

আলো ছড়াচ্ছে আলোর দিশারী স্কুল

চাঁদপুরে ছিন্নমূল শিশুর সাক্ষরতার জন্য কাজ করছে ‘আলোর দিশারী’ নামের একটি ভ্রাম্যমাণ বিদ্যালয়। সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুর শিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কয়েকজন কলেজপড়ুয়া তরুণ-তরুণী। বিস্তারিত জানাচ্ছেন রিফাত কান্তি সেন-

Advertisement

পূজা, ফারিয়া এবং দীপংকরসহ কয়েকজন মিলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন দরিদ্র শিশুর মাঝে। চাঁদপুর সদরের বড়স্টেশন মোলহেডের পাশেই তাদের স্কুল। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় খোলা আকাশের নিচে পাঠক্রম। একসময় রেলওয়ে কোয়ার্টারের সামনে বিদ্যাপীঠের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। বর্তমানে বড়স্টেশন রক্তধারার পাশে প্রতিদিন বিকেলে চলে কার্যক্রম।

ভ্রাম্যমাণ বিদ্যালয়টি এগিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত। এখনো খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস করে কোমলমতি শিশুরা। এখানে যারা শিক্ষাগ্রহণ করে; তারা দরিদ্র ঘরের সন্তান। লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার মতো সামর্থ নেই। আবার অনেকে শিক্ষার প্রতি অনুরাগীও নয়। তাই এসব শিশুকে শিক্ষার প্রতি অনুরাগী করে গড়ে তোলার জন্যই বিদ্যাপীঠটি স্থাপন করা হয়।

এখানে প্রায় ৩০ জনের মতো শিশু শিক্ষাগ্রহণ করতে আসে। হাসি-খুশি আর আনন্দের মধ্যে দিয়ে চলে পাঠদান। বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী তারেক জানায়, সে নিজের নামটি এখন লিখতে পারে। ভবিষ্যতে সে পুলিশ অফিসার হতে চায়। তারেকের মতো প্রতিটি শিশুই শিক্ষার আলো পেয়ে উজ্জীবিত।

Advertisement

বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফারিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখানে বই, খাতা, কলম সবই আমাদের পক্ষ থেকে দিয়ে থাকি। মাঝে মাঝে পথচারীরাও আমাদের শিক্ষার্থীদের বই-খাতা কেনার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।’ বিদ্যাপীঠের ভবিষ্যৎ জানতে চাইলে ফারিয়া বলেন, ‘রোদ-বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এখনো কেউ সেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াননি। তবে একটি স্থায়ী ভবন হলে বিদ্যাপীঠের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

লেখক: শিক্ষক ও কথাশিল্পী

এসইউ/জেআইএম

Advertisement