দেশজুড়ে

শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারার জের : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারার জের ধরে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম খানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নিদের্শনাপত্রটি পৌঁছেছে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। গত ৩১ মার্চ বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুধারাণী দাশকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এ নির্দেশনা দেয়া হয় বলে সূত্র জানায়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জেলা শিক্ষা ও গণশিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টির বর্ণনা দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। পরে বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার। একপর্যায়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসককে বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়। এর অনুলিপিও দেয়া হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারতে উদ্যত হন। ধাক্কাধাক্কিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওই কর্মকর্তা একপর্যায়ে জ্ঞান হারান। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্ঞান ফিরে আসে তার। ২০১৩ সালে সেরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী পদক পেয়েছিলেন তিনি। অবশ্য ঘটনার পর গত ২ এপ্রিল খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনাটি সঠিক নয় দাবি করে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম দফায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখন তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আলমগীর হান্নান/এমজেড/আরআইপি

Advertisement