গ্রিসে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের শর্তের ওপর গণভোট রোববার অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে শুক্রবার দেশটির রাজধানীতে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি পক্ষের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাস ‘না’ ভোটের সমর্থনে একটি সমাবেশে অংশ নেন। তিনি তার সমর্থকদের আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের শর্তের ওপর গণভোটে না ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তার সমর্থকরা হাততালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।তবে কাছাকাছি একটি স্থানে অপর একটি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা হুঁশিয়ার করেছেন, না ভোট জয়ী হওয়ার অর্থ হল ইউরোজোন থেকে গ্রিসের বেরিয়ে যাওয়া।এদিকে গ্রিসের একটি আদালত গণভোটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি পিটিশন খারিজ করে দিয়ে বলেছে, গণভোট হতে পারে।গ্রিসের চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। এ সময় পর্যন্ত সকল ব্যাংক বন্ধ থাকছে এবং এটিএম বুথ থেকে মাত্র ৬০ ইউরো তোলা যাবে।আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে গ্রিসের অচলাবস্থা চলছে। তবে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের শর্তের ওপর গণভোটের ডাক দেয়া হয়। ইতোমধ্যে গণভোটের পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়েছে। সময় যতই গড়াচ্ছে উভয় পক্ষ নিজেদের দিকে ভোটার টানতে তৎপর রয়েছে। গণভোটের পক্ষে-বিপক্ষে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের পোস্টার লাগানো হয়েছে।গণভোট নিয়ে এথনস পত্রিকা শুক্রবার এক জনমত জরিপ চালায়। এতে দেখা যায় ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’র পক্ষে প্রায় সমান সমান ভোটার রয়েছে। হ্যাঁ এর পক্ষে ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ও না এর পক্ষে ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পড়ে। তবে ভোটের ২৪ ঘন্টা আগে সব ধরণের জনমত জরিপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসকেডি/এমএস
Advertisement