জাতীয়

প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

আনন্দ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ইতোমধ্যেই উদ্যানের ভেতরে স্বাধীনতা জাদুঘর প্রাঙ্গণে সুবিশাল মঞ্চ, ভিআইপিদের বসার জন্য সুসজ্জিত চেয়ার ও সাধারণ জনগণের জন্য লেকের পাশে খোলা মাঠে প্লাস্টিকের শিট বিছিয়ে বসার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

এ ছাড়া মূলমঞ্চ ও মাঠে বিশাল বিশাল সাউন্ড সিস্টেম, সুবিশাল ডিসপ্লে বোর্ড, উদ্যান জুড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতির তোরণ, রঙ্গিন লাইটিং, সুপেয় খাবার পানি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেট নির্মাণসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

আজ (শনিবার) সকালে সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনকালে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতির এসব দৃশ্য চোখে পড়ে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আজ শনিবার রাজধানীসহ সারা দেশে আনন্দ শোভাযাত্রা করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সবাই সমবেত হবেন। এ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জোর প্রস্তুতি চলছে।

Advertisement

আজ সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথ তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সকালে উদ্যানে হাঁটতে এসে অনেকে গেটে তালাবদ্ধ দেখে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেও নিরাপত্তারক্ষীরা বলছেন, আজকের সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ আসবেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে উদ্যানে প্রবেশ করে দেখা গেছে, স্বাধীনতা জাদুঘর প্রাঙ্গণে নির্মিত মূল মঞ্চে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন। উদ্যান জুড়ে জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ছোট বড় তোরণ ও বিলবোর্ড। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বিশাল আকারের সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। উদ্যানের সর্বত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সুস্পষ্ট ছাপ। সমাবেশে যোগ দিতে আসা সাধারণ মানুষের জন্য পানির ট্যাংকি বসানো হয়েছে।

শনিবারের শোভাযাত্রায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শোভাযাত্রায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, ক্রীড়া সংগঠক ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিককর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভারের সদস্যরা অংশ নেবেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভায় বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্যের পর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ভাষণটি বাজানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লেজার শো’র মাধ্যমে শেষ হবে আনন্দ শোভাযাত্রা পরবর্তী সভা।

Advertisement

এমইউ/এআরএস/এমএস