বিপিএলের এবারের আসরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়লো চিটাগং ভাইকিংস। তাও আবার ঘরের মাঠে। গ্যালারি ছিল পুরোটাই দর্শকে ঠাসা। স্বাগতিক দর্শকদের চিৎকারে প্রকম্পিত হয়েছিল সাগরিকার আকাশ-বাতাস।
Advertisement
চিটাগংয়ের ইনিংস শেষ হতে না হতেই অবশ্য জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হয়েছে আতশবাজি শো। এরপরই ফাঁকা হতে শুরু করে গ্যালারি। দর্শকদের ভাবখানা এমন, চিটাগং জিতুক আর হারুক- তাতে কীই বা আর আসে যায়!
সিলেটে সিক্সার্সের ব্যাটিংয়ের সময়, ১০ থেকে ১৫ ওভার যেতে না যেতে অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। স্বাগতিক চিটাগং মাঠে খেলছে অথচ পুরো গ্যালারিতে বলতে তখন শ’ খানেক দর্শক। তারাও খেলা দেখার পরিবর্তে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল মাঠ থেকে বের হওয়ার জন্য। দর্শকদের এমন আচরণে অবাকই হতে হয়েছে!
অবশ্য কিছু কারণও পাওয়া গেছে। ওইসব কারণ থেকে এমনটা হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। আজকের ম্যাচটা শুরু হতে এক ঘন্টা বিলম্ব হয়েছে। কারণ, আজ ছিল শুক্রবার। জুমার দিন। এজন্য শেষ হতেও দেরি হচ্ছিল। তাই হয়তো আগে থেকেই বের হওয়ার তাড়া। তার উপর, রাত বেশি হলেই সাগরিকা থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে যাওয়াটা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। গাড়ির অভাব, যানবাহন পাওয়াই যায় না। সিএনজি-ট্যাক্সিক্যাব থাকলেও সেগুলোর ভাড়া আকাশছোঁয়া। এসব কারণেও হয়তো আগে থেকে সবাই বের হয়ে যাচ্ছিল।
Advertisement
আবার আরও একটা কারণ হতে পারে। চিটাগং যে সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে, তাতে তাদের জয় অনেকটাই নিশ্চিত। কিন্তু দলের নিশ্চিত এই জয়টা না দেখেই সমর্থকরা গ্যলারি ত্যাগ করতে শুরু করেন।
চট্টগ্রামে শীতও পড়েছে কিছুটা। যদিও তা সহনশীল মাত্রায়। হয়তো এই শীতের জন্যও দ্রুত গ্যালারি ছাড়ছিলেন তারা। তবে যাই হোক, স্বাগতিকদের এমন ভাল একটা দিনে অন্তত চিটাগং ভাইকিংস আশা করতেই পারে, সমর্থকরা তাদের পাশে থাকবে। উৎসাহ দেবে।
এমএএন/আইএইচএস
Advertisement