দেশজুড়ে

খুলনায় ২৫০০ কৃষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা

জেলার নয় উপজেলার আড়াই হাজার কৃষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেছে খুলনার দশটি সরকারি ব্যাংক। আমন ও বোরোর ন্যায্য মূল্য না পাওয়া, হিমায়িত চিংড়ি রফতানি বাণিজ্যে ভাটা পড়া এবং পাটকলে কাঙ্খিত উৎপাদন না হওয়ায় ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে মামলার জালে পড়তে হলো তাদের।সার্টিফিকেট মামলার বিপরীতে ঋণের পরিমাণ ৫৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থ আদায়ে সার্টিফিকেট আদালত থেকে ইস্যুকৃত ওয়ারেন্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা কৃষি ঋণ কমিটি তাগিদ দিয়েছে। জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সূত্র জানায়, ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায়ে জেনারেল সার্টিফিকেট আদালতে এক হাজার ৪৭টি এবং ৪ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায়ে উপজেলা সার্টিফিকেট আদালতে ১৪৯২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে কৃষি, সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বিআরডিবি, কর্মসংস্থান, শিল্প, সমবায় জমি বন্ধকী ও সমবায় ব্যাংক। এ কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে উপজেলা সার্টিফিকেট আদালতে ৪টি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং জেনারেল সার্টিফিকেট আদালতে ৬টি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় দুই লাখ ৫২ হাজার টাকা আদায় হয়েছে। কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনার উপ-মহাব্যবস্থাপক শরীফ ইকবাল হামিদ জাগো নিউজকে জানান, সার্টিফিকেট মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে। নতুন করে মামলা দায়ের করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিরুৎসাহিত করছে। ঋণ গ্রহীতা কৃষক অপারগতা প্রকাশ করলে সুদ মওকুফের চিন্তা করা হবে। জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল মে মাসের ঋণ বিতরণ কমিটির সভায় সার্টিফিকেট মামলার কার্যক্রম তদারকি করতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সার্টিফিকেট আদালতের মামলাগুলো সঠিকভাবে তদারকি না হওয়ায় মামলার নিষ্পত্তি আশানুরূপ নয়। মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়ানোর নির্দেশনাও তিনি দেন। সার্টিফিকেট আদালত থেকে ইস্যুকৃত ওয়ারেন্টগুলো থানায় জমা দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও তিনি দিয়েছেন।আলমগীর হান্নান/এমজেড/এমএস

Advertisement