বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ (এফএমটিডি) প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা শনিবার ব্রি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ। ব্রির মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান সরদার ইলিয়াস হোসেন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অণুবিভাগের যুগ্ম প্রধান মো. মনজুরুল আনোয়ার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ব্রির পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো. শাহজাহান কবীর ও ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আনছার আলী।গত পাঁচ বছরে প্রকল্পের গবেষণা ও সম্প্রসারণ কাজের ফলাফল সম্পর্কে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ও প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. কামরুজ্জামান মিলন। বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ, সম্প্রসারণবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি এবং কৃষকসহ দুই শতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।কর্মশালায় জানানো হয়, উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে প্রতি বছর ধান চাষে ১১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর একটি প্রকল্পের উদ্যোগে ৬০ শতাংশ ভর্তুকিতে বিক্রি করা কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১২ জেলার কৃষক পর্যায়ে ইতিবাচক সাড়া জাগিয়েছে এ কার্যক্রম। কর্মশালায় আরো জানানো হয়, ইতোমধ্যে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের ফলে বিশ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। সমীক্ষাধীন এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে ব্রি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে ধান চাষে তাদের ব্যয় ও কায়িক শ্রম লাঘব হয়েছে, অপচয় কমেছে এবং আয় বেড়েছে।এফএমটিডি প্রকল্পের উদ্যোগে পরিচালিত সাম্প্রতিক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, এফএমটিডি প্রকল্পের মাধ্যমে গত ৫ বছরে ৬০% ভর্তুকিতে বিভিন্ন ধরনের ৫৩৮০টি কৃষিযন্ত্র বিক্রয় করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষিযন্ত্র বিক্রয়ের পাশাপাশি স্থানীয় যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারকদের কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের ১২টি জেলার ২৪টি উপজেলায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। মো. আমিনুল ইসলাম/এমজেড/পিআর
Advertisement