আগামী ৩০ নভেম্বর তিন দিনের সরকারি সফরে ঢাকা আসছেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। এদেশে অবস্থানকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নৃশংস নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থায় সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
Advertisement
ভ্যাটিকান মুখপাত্র গ্রেগ বার্ক সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশে আসার আগে তিনি ২৬শে নভেম্বর মিয়ানমার যাবেন। ইয়াঙ্গুনে বিশপের বাসভবনে দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ হবে পোপের। আর ঢাকায় ১ ডিসেম্বর আন্তঃধর্মীয় এক বৈঠকে উপস্থিত থাকবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ‘ছোট একটা গ্রুপ’। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে পোপের আসন্ন সফরের মূল সূচিতে এ দুটি সাক্ষাৎ অন্তর্ভুক্ত ছিল না; শেষ মুহূর্তে যোগ হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও বন্ধুত্বের বার্তা পাঠিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশে খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারীদের আশীর্বাদও জানিয়েছেন তিনি। পোপের ভিডিও বার্তাটি মঙ্গলবার ভ্যাটিকান রেডিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌথ আমন্ত্রণে আগামী ৩০শে নভেম্বর তিন দিনের রাষ্ট্রীয় এবং পালকীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন পোপ ফ্রান্সিস। এর আগে ২৭ থেকে ৩০শে নভেম্বর তিনি মিয়ানমার সফর করবেন।
Advertisement
বাংলাদেশ সফরকালে পোপ ফ্রান্সিস রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া পোপের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃথক বৈঠক হবে। ভ্যাটিকান দূতাবাসে সেই বৈঠক হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
সফরের প্রথম দিনে পোপ জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং পরে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরদিন ১ ডিসেম্বর সকালে বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাস ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে পবিত্র সভায় মিলিত হবেন তিনি।
একই দিনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি উপাসনা অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করবেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে ১৬ জন ডিকনকে ধর্মযাজক পদে অভিষিক্ত করা হবে। বাংলাদেশের কার্ডিনাল, আর্চবিশপ ও বিশপদের সাক্ষাৎ দেবেন পোপ ফ্রান্সিস। এছাড়া তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ঢাকার সবচেয়ে পুরনো তেজগাঁ চার্চে একান্তে সময় কাটাবেন। পাশাপাশি তরুণদের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎ পর্বও রয়েছে তার।
এমএমজেড/আইআই
Advertisement