ইউরোপে দাবদাহের প্রভাবে জ্বালানি চাহিদা বাড়ায় ঊর্ধ্বমুখী কয়লার বাজার। অন্যদিকে এশীয় ক্রেতা দেশগুলো আমদানি কমিয়ে দেয়ায় কমে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার কয়লার দামও। রয়টার্স জানায়, বুধবার জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার গড় তাপমাত্রা পৌঁছেছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে; যা মৌসুমি গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে তা আরো বাড়বে বলে জানা গেছে।অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা বাড়লেও মহাদেশটিতে বাড়েনি কয়লার সরবরাহ। ব্যবসায়ীরা জানান, এখনো সীমিত পর্যায়ে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর দিয়ে আসা কয়লার সরবরাহ। ইউরোপের আমস্টারডম, রটারডম এবং এন্টওয়ার্প বন্দরে সরবরাহের জন্য পণ্যটির বর্তমান মূল্য এসে দাঁড়িয়েছে প্রতি টন ৫৯ ডলার ২০ সেন্টে। মে মাসের শুরু থেকে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।অন্যদিকে বন্দরগুলোয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা কয়লার সরবরাহ মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রতি টন ৬০ ডলার ৪৫ সেন্টে। এক সপ্তাহ আগে এর মূল্য ছিল প্রতি টন ৫৮ ডলার ২০ সেন্ট।বন্দরে সরবরাহ মূল্য বাড়ার প্রভাবে ইউরোপের ফিউচার মার্কেটেও পণ্যটির দর বেড়েছে। চলতি বছরের এপিআই২ সূচকে এর মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি টন ৬০ ডলার ৪০ সেন্টে।অন্যদিকে এশিয়ার দেশগুলোয় কমে এসেছে কয়লার ব্যবহার। মহাদেশটির বন্দরগুলোয় সরবরাহের জন্য অস্ট্রেলীয় কয়লার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬১ ডলার ১৫ সেন্টে। প্রতি টনে দর কমেছে ১ ডলার ৭ সেন্ট। এ মূল্য ইউরোপে সরবরাহ মূল্যের তুলনায় বেশি হলেও সামনের দিকে তা আরো কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এশীয় দেশগুলোতে এক বছরের মধ্যে শুধু জাপানেরই আমদানি কমেছে ১৫ শতাংশ।অস্ট্রেলিয়ায় গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশটি থেকে কয়লা রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০ কোটি ১৭ লাখ টনে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২০ কোটি ৮ লাখ টন। একই সঙ্গে প্রতি টনে প্রত্যাশিত গড় মূল্য ৬৮ ডলার।এসকেডি/এমএস
Advertisement