দেশজুড়ে

স্কুটি চালিয়ে কুষ্টিয়ায় চার নারী

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সাকিয়া হক ও মানসী সাহা তুলি এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফারিয়া ফেরদৌস ও ইডেন কলেজের ছাত্রী আসমা আক্তার। তারা চার সাহসী নারী।

Advertisement

‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারী অধিকার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে দেশের ৬৪ জেলা সফরের অংশ হিসেবে এই সাহসী চার শিক্ষার্থী স্কুটি চালিয়ে কুষ্টিয়া ঘুরে গেলেন।

বুধবার বিকেলে ওই চার শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া আসেন। তাদের এই সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ, নারী স্বাস্থ্য ও বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা, ইভটিজিং রোধ ও আত্মরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

সংগঠনটির সদস্য মানসী সাহা তুলি বলেন, পিছিয়ে থাকা নারীদের চিন্তা-চেতনায় অগ্রগামী করে তুলতেই আমরা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের আরও সচেতন করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। আমরা আমাদের ছুটির দিনের সঙ্গে মিলিয়ে ৬৪ জেলা ভ্রমণের সময়সূচি মিলিয়ে থাকি। আশা করছি, আগামী বছরের মধ্যে আমাদের ৬৪ জেলা ভ্রমণ সম্পন্ন হবে। যেখানেই যাচ্ছি সবার বিপুল সাড়া পাচ্ছি।

Advertisement

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাকিয়া হক বলেন, আমরা নিয়মিত ট্যুর আয়োজন করব। এখন নারীদের ভ্রমণ লেখা নিয়ে ‘ভ্রমণকন্যা’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশের কাজ করছি। আশা করছি, প্রথম বর্ষপূর্তিতে এটি বের হবে। যথারীতি ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনীর কাজ চলবে। এছাড়া কিশোরী বয়স থেকেই নারীদের সচেতন করে তুলতে চাই, যেন মেয়েরাও এই দেশে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।

কর্ণফুলী প্রেজেন্টস নারীর চোখে বাংলাদেশ পাওয়ার্ড বাই ক্লেমন আয়োজিত ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচির আওতায় ওই চার শিক্ষার্থী গত শনিবার স্কুটিতে করে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর হয়ে কুষ্টিয়ায় পৌঁছান।

গত দুইদিন তারা কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থান সমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র মাজার ও বিষাদ-সিন্ধু রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুুভিটা পরিদর্শন করে মুগ্ধ হন।

তারা কুষ্টিয়ার মেরিট মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বয়ঃসন্ধি, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং রোধে মতবিনিময় করেন। সফরকালে পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন পুনাক ফুডপার্কের প্রোপাইটার ও রোটারি ক্লাবের সেক্রেটারি আলিমুল হক সনজু তাদের এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

Advertisement

আল-মামুন সাগর/এএম/জেআইএম