আইন-আদালত

আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

Advertisement

খালেদা জিয়া বলেন, মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নূর আহমেদ আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ না পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেননি। কিন্তু মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদসন দাখিল করেছেন।

২০০৫ সালে বিএনপি জোট সরকারের সময়ে চাকরিচ্যুত হওয়ার কারণে হারুন-অর-রশিদ ক্ষিপ্ত ছিলেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন খালেদা।

তিনি বলেন, তারই ফলশ্রুতিতে তাকে (হারুন-অর-রশিদ) আমার বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য দেন খালেদা। এ দিন বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে তিনি উপস্থিত হন।

বেলা সাড়ে ১১টায় খালেদা জিয়া তার অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। এর আগে সকাল পৌনে ১১টায় খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশে রওনা হন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসরে প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

Advertisement

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জেএ/এনএফ/পিআর