দেশজুড়ে

ছিটমহলবাসীদের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে

ছিটমহলবাসীদের প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোহাম্মদ রহমাতুল মুনিম।তিনি বলেন, ছিটমহলবাসীদের মতামতের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা হবে। আর চুক্তি হস্তান্তর হওয়ার পর প্রয়োজনীয় উন্নয়নের কাজ করবে স্থানীয় প্রশাসন। সরকারের বিভিন্ন দফতর জরিপ পরিচালনা করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।শুক্রবার সকালে ৩১ নং ছিটমহল নগর জিকাবাড়ীর সংলগ্ন দক্ষিণ খড়িবাড়ী পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আগামী ৬ থেকে ১৬ জুলাই উভয় দেশের তথ্য সংগ্রকারীদের উপস্থিতে ছিটমহলবাসীদের মতামত নেওয়া হবে। যারা ভারতে যেতে আগ্রহী তাদের আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত উভয় দেশে যাতায়াতের জন্য গ্রীণ পাসপোর্ট দেওয়া হবে। যারা বাংলাদেশের বসবাস করবে তাদের নাগরিকের সকল সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. মোস্তফা আবিদ খান, রংপুর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মিনু শীল, নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুজিবুর রহমান, নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ফিরোজ কবির প্রমুখ।প্রসঙ্গত, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার অভ্যন্তরে চারটি ছিটমহলের হেডকাউন্টিং জরিপে ১১৯টি পরিবার পেয়েছেন গণনাকারীরা। এর চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী এসব পরিবারের জনসংখ্যা মোট ৫৩২ জন। এখানে পুরুষ ২৭২ ও মহিলা ২৬০ জন। খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে মধ্যে ২৮ নম্বর ছিটমহল বড়খানকির পরিবারের সংখ্যা ২১ ও জনসংখ্যায় পুরুষ ৪৯, মহিলা ৪৮সহ ৯৭ জন।গয়াবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে ২৯ নম্বর ছিটমহল বড়খানকি খারিজা গিদালদহর পরিবারের সংখ্যা ৪৭। জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষ ৯৪ জন, মহিলা ৯৬ জনসহ ১৯০ জন। গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩০ নম্বর ছিটমহল বড়খানকী খারিজা গীতালদহে পরিবারের সংখ্যা ৯। জনসংখ্যায় পুরুষ ২১ ও মহিলা ১৮ সহ ৩৯ জন।টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৩১ নম্বর ছিটমহল নগর জিকাবাড়িতে পরিবারের সংখ্যা ৪৯ জন। জনসংখ্যায় পুরুষ ১০৮ জন ও মহিলা ৯৮ জনসহ ২০৬ জন। নগর জিকাবাড়িতে চারটি হিন্দু পরিবার বসবাস করে।জাহেদুল ইসলাম/এআরএ/আরআই

Advertisement