আন্তর্জাতিক

রাখাইনে জাতিগত নিধনের সমস্ত আলামত রয়েছে : যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর পরিচালিত অভিযানে জাতিগত নিধনের সমস্ত আলামত রয়েছে উল্লেখ করে সতর্ক করে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস বলছে, বিশ্ব এই নৃশংসতা দেখছে এবং কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সেব্যাপারে ভাবছে।

Advertisement

মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর জেফ মের্কলে। তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর নৃশংসতা এবং ভয়াবহ হামলার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

‘ভয়াবহ এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ দীর্মেয়াদি পক্ষপাতমূলক আচরণ ও বৈষম্য; যা দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত।’

মার্কিন সরকারের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কক্সবাজার, মিয়ানমারের নেইপিদো এবং রাখাইনের রাজধানী সিত্তে সফর শেষে ইয়াঙ্গুনে ওই সংবাদ সম্মেলন করে। সিনেটর জেফ মের্কলে বলেন, অং সান সু চি গত সেপ্টেম্বরে দেয়া এক ভাষণে বিদেশি কর্মকর্তাদের রোহিঙ্গা শিবির এবং গ্রামগুলো সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা তার এই পদক্ষেপের প্রশংসা করছি। আমরা তার সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছিলাম।

Advertisement

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন রাখাইনের কিছু গ্রাম ও শিবিরে মার্কিন এই প্রতিনিধি দলকে প্রবেশ করতে দেয়নি। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মার্কিন এই সিনেটর বলেন, তিনি কষ্ট পেয়েছেন যে, রাখাইনের বেশ কিছু গ্রাম ও শিবিরে প্রতিনিধি দলকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।

উত্তর রাখাইনে পুরোদমে মানবিক তৎপরতা শুরু করতে ও কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন এই কর্মকর্তা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়ার পথ পরিষ্কার করতে নেইপিদোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া রাখাইনে নিরাপত্তাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশন নিয়ে মিয়ানমার সরকারকে বিশ্বাসযোগ্য তদন্তেরও আহ্বান জানান মের্কলে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব দেখছে, মিয়ানমার সরকার কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।’

মের্কলে ছাড়াও মার্কিন এ প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন; ডেমোক্রেট দলীয় ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের সিনেটর ডিক ডার্বিন, মিনেসোটার সিনেটর বেটি ম্যাক কোলাম, ইলিনয়ের অপর সিনেটর জ্যান চকোস্কি ও রোড আইল্যান্ডের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর ডেভিড সিসিলিন।

Advertisement

সূত্র : ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার।

এসআইএস/আরআইপি