ভাইয়ের সংসারে প্রচণ্ড কষ্টে দিন কাটছিল সীতালক্ষ্মীর। কিন্তু একদিন সেখান থেকেও তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে মানুষের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে শুরু করেন তিনি।
Advertisement
এভাবেই কাজ করেই সময় কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু বয়সের ভারে কর্মক্ষমতা কমতে থাকায় পরিচারিকার কাজ ছেড়ে শেষে কর্নাটাক প্রদেশের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুতে প্রসন্ন অঞ্জনেয়া স্বামী মন্দিরের সামনে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন তিনি।
প্রায় এক দশক ধরে এই কাজই করেছেন। আর সেটা করেই জমিয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা। সেই টাকা মন্দিরেই দান করেছেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা সীতালক্ষ্মী।
হনুমান জয়ন্তীতে প্রতিবছরই মহাভোজের আয়োজন করা হয় ওই মন্দিরে। প্রসাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। এবার ওই বৃদ্ধার টাকা দিয়েই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
Advertisement
মন্দিরের বাইরে বসে সীতালক্ষ্মী জানিয়েছেন, ভগবানই আমার সব। এখানে ভক্তরা যাওয়ার সময় তাকে যে অর্থ দান করেন তা তিনি ব্যাংকে জমিয়ে রাখেন। সেটা জমিয়েই মন্দিরে দান করেছেন তিনি।
টিটিএন/আরআইপি