দেশজুড়ে

ভোলায় গজারিয়া খাল দখলের মহোৎসব

ভোলা-চরফ্যাশন সড়কে গজারিয়া বাজারের শত কোটি টাকার সরকারি জমি ও খাল দখল করে রাতারাতি কয়েকশ দোকান ও পাকা ভবন নির্মাণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। এসব ব্যক্তিরা এক সময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রছ্য়াায় রয়েছেন। তারা এ জায়গা জেলা পরিষদের কাছ থেকে লিজ নেয়ার দাবি করলেও জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু ও প্রধান নিবাহী কর্মকর্তা এবিএম শওকত ইকবাল শাহীন জাগো নিউজকে জানান, কাউকে কোনো লিজ দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে  তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। দখলদারদের উৎখাত করা হবে বলেও জানান এ দুই কর্মকর্তা।  ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এমন দখল উৎসবে ক্ষোভ জানান এলাকার শত শত মানুষ। এতে সরকারের শত কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত হচ্ছে। লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। লক্ষাধিক কৃষকের চাষাবাদ ব্যহত হবে বলেও জানান স্থানীয় কৃষকরা। এমন কী খাল সংলগ্ন স্থানীয় ডাক্তার রাম কৃষ্ণ দাসের রেকর্ডিয় ৭৫ শতক জমিও দখল করে নিয়েছেন ওই প্রভাবশালীরা। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও ভয় পান স্থানীয়রা।লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে জানান, যারা এ কাজ করছেন তারা ঠিক করছেন না। তিনি এ কাজ থেকে বিরত থাকতে তাদের নির্দেশ দেন বলেও জানান। এলাকার গজারিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এমদাদুল ইসলাম সেলিম, ইউপি সদস্য টুলু, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল ফরাজিসহ এলাকার কয়েকশ মানুষ ওই জলাশয় মুক্ত রাখার দাবি জানান। এদিকে দখলদার হিসেবে অভিযুক্ত হারুন বাবুল জাগো নিউজকে জানান, তিনি জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়ে ঘর তুলেছেন। একই দাবি করেন হাসনাইন পঞ্চায়েত, সিরাজ বিশ্বাস, আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, মো. কামাল, লিটন বেপারী, হাসান মাস্টার, জাকির হাওলাদার, শাহাজালাল, নোমান বেপারী, জাকির মৃধা, রশিদ পঞ্চায়েতমন্নান ডিলার, কলেজ শিক্ষক আব্দুল জলিল, মো. ইয়াছিন, মুসলিম বেপারী, মিলন মেকার, মতিন বেপারী, কামাল খা, নুরেআলমসহ শতাধিক ব্যক্তি। কার আগে কে ঘর তুলবেন এখন সে প্রতিযোগিতাই চলছে। অমিতাভ অপু/এমজেড/এমএস

Advertisement