১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার। এজন্য শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নাশকতাসহ সকল প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে সুন্দরগঞ্জে এলার্ট রয়েছে পুলিশ।
Advertisement
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান বলেন, আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়ার নামে ২০০৯ সালে পরপর দুইটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের হয়। পরে মামলা দুইটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উপজেলার কোথাও কেউ যাতে নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা এলার্ট রয়েছি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কৃষক পরিবারের সন্তান আব্দুল আজিজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনীর হয়ে আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ হত্যা, মালামাল লুটসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করেন।
পরে তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত হন। এরপর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আব্দুল আজিজ মিয়া জেলা আমিরের দায়িত্ব পালন করেন।
Advertisement
২০০১ সালে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে চারদলীয় জোটের হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন আব্দুল আজিজ মিয়া। পরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জে নাশকতায় বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির চার পুলিশ মারা যান। সেই মামলাতেও তিনি প্রধান আসামি।
এছাড়া রুহুল আমিন মঞ্জু ২০০৩ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বাড়ি দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামে। তিনি আর গ্রামে থাকেন না। দীর্ঘদিন থেকে পলাতক রয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অপর আসামি আব্দুল লতিফের বাড়ি ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামে। তিনি খামার পাঁচগাছী দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার ছিলেন। তিনি গ্রেফতার রয়েছেন।
এছাড়া আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, নাজমুল হুদা ও আব্দুর রহিম মিঞা পলাতক রয়েছেন। নাজমুল হুদা ও আব্দুর রহিম মিঞার বাড়ি দহবন্দ ইউনিয়নের ধুমাইটারি গ্রামে। নাজমুল হুদা একটি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। তারা সকলে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
Advertisement
রওশন আলম পাপুল/এফএ/আইআই