খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলা যেমন রেওয়াজে পরিণত হয়ে গেছে, একইভাবে পুরস্কার বিতরণপর্ব শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের অধিনায়ক-কোচ কিংবা সেরা পারফরমারের কারও এসে কথা বলাও বেশ আগে থেকে নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে।
Advertisement
অবিস্মরণীয় জয়ের পর মাঠ ও ড্রেসিংরুমে যত বাঁধভাঙা উৎসব আর আকাশছোঁয়া আনন্দ থাকুক না কেন, সব রেখে চলে আসতে হয় সংবাদ সম্মেলনে। একইভাবে দুঃখজনক হার, জয়ের খুব কাছে গিয়ে তরী ডোবার পর ভেতরে রক্তক্ষরণ হলেও সংবাদ সম্মেলনে আসতেই হয়।
খুব অসাধারণ পারফরমেন্সে কেউ ম্যাচ সেরা হলে ভিন্ন কথা। তা না হলে অধিনায়কই আসেন কথা বলতে। তবে আজ রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস খেলা শেষে এ রীতির ব্যতিক্রম ঘটলো।
অবিস্মরণীয় জয়ের পর ড্রেসিং রুমের উচ্ছ্বাস-উল্লাসে ব্যস্ত মাশরাফি বিন মর্তুজা কিংবা পরাজয়ের পর ড্রেসিংরুমে নিস্তব্ধতা ভেঙে প্রেস মিটে দেখা মিললো না ঢাকার ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানের।
Advertisement
পুরস্কার বিতরণপর্ব শেষ হবারও অন্তত আধঘণ্টা পর আসলেন দুই শিবিরের দু’জন; বিজয়ী রংপুর রাইডার্সের ইংলিশ অলরাউন্ডার রবি বোপারা আর ঢাকার মিডিয়াম পেসার আবু হায়দার রনি। ম্যাচ জেতার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রবি বোপারা একটা কথাই বললেন, ‘ভালো লাগছে।’
শেষ ওভার নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি তথা টিম প্ল্যান কী ছিল? এ প্রশ্নের জবাবে বোপারা জানালেন, ‘আমাদের সামনে কোনো বিকল্প পথ ছিল না। সবাই মিলে একটাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, যতটা সম্ভব ইয়র্কার লেন্থে বল ফেলার। থিসারা পেরেরা সে কাজটিই অসম্ভব দক্ষতার সাথে করে দেখিয়েছেন। দারুণ বল করেছে পেরেরা।’
আজকের খেলায় রংপুর ফাস্ট বোলার লাসিথ মালিঙ্গা একাই ছয়টি ওয়াইড বল করেছেন। অধিনায়ক মাশরাফিও দুটি নো বল করেছেন। ১২ ওয়াইডসহ সব মিলে ১৯টি অতিরিক্ত বল করেছেন রংপুর বোলাররা। তারপরও জয় ধরা দিয়েছে।
রবি বোপারা তার প্রতিক্রিয়া এভাবে ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘আমরা ২০ ওভারের ম্যাচে প্রায় তিন ওভার অতিরিক্ত বল করেছি। এক কথায় ২৩ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে ঢাকা। যা বিরল ঘটনা প্রায়। এমন ঘটবে না প্রতিদিন। তারপরও আমরা জিতে গেছি। সেটাই বড় কথা। তবে এভাবে জেতা যাবে না বা জেতা যায় না। এটাই ক্রিকেট। এ আসরে অমরা এর চেয়ে ভালো টিম পারফরমেন্স করেও হেরেছি। আজ সেরা ক্রিকেট না খেলেও জয় ধরা দিয়েছে। এটাই ক্রিকেটের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।’
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস/বিএ