জাতীয়

নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি এই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক বিশ্বনেতার উপস্থিতিতে কোন ফোরামে অংশ নিচ্ছেন।প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে, কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো থেকে দক্ষদের সঙ্গে নিয়েই নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে থাকছেন: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ ‍নাসিম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তওফিক ইমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ দীপু মনি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, সিনিয়র সচিব, প্রেসসচিব, পররাষ্ট্রসবিচ, নৌ, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শ্রমসচিবসহ, উচ্চ পর্যায়ের সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সফর সঙ্গী হচ্ছেন।নিউইয়র্ক পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। নিউইয়র্কে তিনি সফরসঙ্গীদের নিয়ে ম্যানহাটনের হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে অবস্থান করবেন।জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলন ২০১৪ এ অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে।২৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সাধারণ অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক শুরু হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর। বরাবরের মতো এবছরও বাংলায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কাতারের আমীর তামিম বিন মোহাম্মদ আল থানি, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী মিজ এরনা সলবার্গ, বেলারুসের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিয়াসনিকোভিচ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন।এছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক শিক্ষাবিষয়ক বৈঠকে বক্তব্য দেবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে তিনি যৌথ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। একই দিনে তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের ৪০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও বক্তব্য দেবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটনের সেন্ট্রাল পার্কে গ্লোবাল পোভার্টি প্রোজেক্ট আয়োজিত গ্লোবাল সিটিজেন ফেস্টিভালে অংশ নেনবেন প্রধানমন্ত্রী।২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান এবং ২৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার দেওয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ছাড়ার পর ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর লন্ডনে ২ দিনের যাত্রাবিরতি করে ২ অক্টোবর সকালে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement